নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নিঃস্ব অসহায় সিমলাকে বিয়ে দিলেন নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব। গতকাল সোমবার ধুমধাম করে অধ্যক্ষ সায়েম মাহবুবের পৌর এলাকার ধাতিশ্বর গ্রামে এ বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিয়ের ভোজ অনুষ্ঠানে ২’শ মেহমান অংশগ্রহণ করেন। সিমলার এমন বিয়ের আয়োজনের খবরে এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় জমে। কনে বিবি খালেদা সিমলা পৌরসভার বাতুপাড়া গ্রামের নিরুদ্দেশ শাহ আলমের মেয়ে। বর এয়াকুব আলী পৌর সদরের হরিপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব ছাড়াও সিমলার বিয়েতে সহযোগীতা করেন আইডিয়াল ফ্রেন্ডস সোসাইটি (আইএফএস), কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, উপ সচিব আবু তালেব, জহুরা খাতুন শেলী, উপজেলা চেয়ারম্যান সামছু উদ্দিন কালু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল, পৌর মেয়র আব্দুল মালেক ও স্থানীয়রা।
জানা যায়, নাঙ্গলকোট পৌরসভার বাতুপাড়া গ্রামের মৃত শাহ আলম ২ কন্যা রেখে ১৫ বছর আগে নিরুদ্দেশ হন, স্ত্রী’রও বিয়ে হয়ে যান অন্যত্রে। মাতা-পিতার অবর্তমানে সাংবাদিক সায়েম মাহবুবের তত্বাবধানে দু’ কন্যা লালিত পালিত হন। বড় বোনের ২ বছর আগে বিয়ে হয়। ছোট মেয়ে অসহায় বিবি খালেদা সিমলা বিয়ের উপযুক্ত হলেও অভিভাবক না থাকায় কেউ এগিয়ে আসেনি। সিমলার অভিভাবকের দায়িত্ব নেন নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব পরিবার। তার জন্য ঠিক করা হয় বর। সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয় সিমলার। বিয়ের মেজবানে এলাকার সামাজিক, রাজনৈতিক ও শিক্ষক’সহ অন্তত ২ শত লোক অংশ গ্রহণ করেন। এমন আয়োজনে খুশি বর-কনে ও তাদের স্বজনরা। সিমলার বিয়ের খবর এখন এলাকার মানুষের মুখেমুখে। সিমলার পাশে দাঁড়ানোয় প্রশংসায় ভাসছে নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশনেন, অধ্যক্ষ সায়েম মাহবুব, নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব সিনিয়র সহসভাপতি মাঈন উদ্দিন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী, অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, পৌর কাউন্সিলর মহিন উদ্দিন ভূঁইয়া, সাবেক কাউন্সিলর আবু জাফর, ধাতিশ্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক কাজী মোজাম্মেল হক, প্রেসক্লাব প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বাপ্পি মজুমদার ইউনুস, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক একেএম মারুফ, সদস্য প্রভাষক ত্বোহা হাছান স্বাধীন, নাঈম উদ্দিন, ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।