কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা সদরের লোটাস চত্ত্বরের বাহরাইন হোটেলের মোহাম্মদ হাছান (২৫) নামে এক কর্মচারীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে হোটেলের পাশ্ববর্তী নূরে মদিনা মাদরাসার ২য় তলার স্টাফ বাসার চাদ থেকে হাছানকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই হোটেলের অন্য কর্মচারীরা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাছান উপজেলার চাঁন্দগড়া গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে। হাছানের সাথে একই বাসায় থাকা অন্য কর্মচারীদের দাবী বাসার চাদের উপর দিয়ে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ঠ হয়ে হাছানের মৃত্যু হয়েছে। হাছানের পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য হাছানের মৃত দেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হোটেল কর্তৃপক্ষ ও হাছানের সহকর্মীরা জানায়, নাঙ্গলকোটের বাহরাইন হোটেলের কর্মচারীদের থাকার জন্য হোটেলের পিছনের নির্ধারিত বাসায় জায়গা না হওয়ায় পাশ্ববর্তী শামীমা ভিলার নূরে মদিনা মাদরাসার ২য় তলায় ৩দিন আগে নেয়া হয় নতুন বাসা। ওই বাসায় বাহরাইন হোটেলের কর্মচারী একই উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের পানকরা গ্রামের ধান ব্যবসায়ী আবুল বাশারের ছেলে মোহাম্মদ হাছান’সহ ৪জন থাকতেন। মঙ্গলবার রাতে হোটেলের কাজ শেষ করে সাড়ে ১১টার দিকে হাছান, তার সহকর্মী বিজয়, রিয়াদ ও শাহিন বাসায় যায়। বাসায় গিয়ে ধুমপান করতে হাছান ও বিজয় এক সাথে চাদে যায়। হাছান চাদের উত্তর-পূর্ব কর্ণারের দেয়ালের পাশে গেলে সেখানে থাকা বিদ্যুতের মেইন লাইনে সে স্পৃষ্ঠ হয়। এসময় বিজয় দৌড়ে বাসায় গিয়ে অপর দুই সহকর্মী রিয়াদ ও শাহিনকে ডেকে নিয়ে হাছানকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
হাছানের পিতা আবুল বাশার ও তাদের পারিবারিক সূত্র জানায়, আমাদেরকে রাত ১২টার দিকে ফোন করে বলে হাছান খুব অসুস্থ, কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দিয়ে বলে সে মারা গেছে। আমাদের ধারণা তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের চিহিৃত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি।
হোটেল মালিক আব্দুল মমিন বলেন, আমি রাতে বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি, রাত ১টার দিকে কর্মচারীরা লোক মারফত খবর দিয়ে হাছানের মৃত্যুর বিষয়টি জানায়। পরে আমি বিষয়টি নাঙ্গলকোট থানাকে অবহিত করি।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে, প্রতিবেদন ফেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।