(নাঙ্গলকোট) কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সরকার ঘোষিত দেশে চলমান সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল ও অফিসার ইনচার্জ আ,স,ম আবদুর নূরের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রয়েছে। এদিন মহাসড়কে গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও রাস্তায় পণ্যবাহী যান, রিকশার পাশাপাশি সিএনজি ও অটোরিকশা সীমিত আকারে চলতে দেখা গেছে। নাঙ্গলকোট বাজার সহ এলাকার হাটবাজারগুলোতে সাধারণ মানুষের চলাচল তেমন একটা দেখা যায়নি। বন্ধ রয়েছে শপিং মল সহ দোকানপাট। সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুলের নেতৃত্বে নাঙ্গলকোট বাজার সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে বিনা কারণে চলাচল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়ে দুই পথচারী ও দুই ব্যবসায়ীর ২৫০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ জরিমানা করেন।
এবিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লামইয়া সাইফুল বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যারা রাস্তায় বের হয়েছেন অথবা দোকান খোলা রেখেছেন তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণও করা হয়েছে। সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে হলে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের কঠোর হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। নাঙ্গলকোটের সকল মানুষকে সরকারের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করছি। জরুরি সেবায় নিয়োজিত এবং গণমাধ্যম কর্মীরা যেনো কোনো ধরণের হয়রানির শিকার না হন এ বিষয়ে সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভোর থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চালু করে সরকার। এই বিধিনিষেধকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বলা হচ্ছে। টানা এক সপ্তাহের এই নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামী ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত।