নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি:
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের পানকরা গ্রামে স্ত্রীকে তালাক দেয়ায় মেম্বার কতৃর্ক লুটতরাজ, বাড়িঘরে হামলা শিরোনামে সংবাদ প্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তিবর্গ। অভিযুক্তরা হলেন- জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীন মজুমদার ,বর্তমান মেম্বার সিরাজুল ইসলাম, সালিশকারক বেলাল হোসেন।
অভিযুক্ত আবুবক্করের স্ত্রী ও আব্দুর রশিদের মেয়ে রৌশনারা বলেন, আমার স্বামী ও দেবর রাসেল আমাকে প্রচুর মারধর ও নির্যাতন করে। পরে আমি চিকিৎসার জন্য বাপের বাড়ি চলে যাই। চিকিৎসা শেষে আমার শ্বশুরবাড়ি পানকরায় আসি। আমার স্বামী ও দেবর আমাকে ঘরে ডুকতে দেয়নি। পরে জানতে পারি কোনো আইনি নোটিস প্রধাদ না করে আমাকে নাকি তালাক দিয়েছেন।
এ সময় অভিযুক্ত ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার সিরাজুল ইসলাম, সাবেক মেম্বার জয়নাল আবেদীন, গ্রাম্য সালিশকারক বেলাল হোসেনসহ ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহআলম ও পানকরা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল বাতেনসহ সকলে বলেন, কিছু অনলাইন মিডিয়া ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করায় আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
তালাক প্রসঙ্গে রৌশন আরার স্বামী আবুবক্কর বলেন, আমার স্ত্রী আমাকে সব সময় মানসিকভাবে নির্যাতন করত। আমি তাকে দেশের আইনানুযায়ী কোর্টের মাধ্যমে তালাক প্রদান করি।
এ বিষয়ে আবুবক্কর, সিরাজ মেম্বার, জয়নাল মেম্বার, বেলাল হোসেন ও শাহ্ আলম মেম্বারকে অভিযুক্ত করে তার ঘর লুটপাট, বাড়িঘরে হামলা করেছে বলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে জানান, মেম্বার গংদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তদন্ত শেষে এটির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।