ওসিসহ আহত শতাধিক
নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গত ৩১ আগস্ট বুধবার বিএনপি-আওয়ামীলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় ৩টি মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১১৮০ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়। বুধবার রাতে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক স্বাধন চন্দ্র নাথ বাদী হয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি য্গ্মু আহবায়ক ও উপজেলা আহবায়ক নজির আহাম্মদ ভূঁইয়া, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া, নাঙ্গলকোট উপজেলা সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন নয়ন’সহ ৫১জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪৫০জনকে আসামী করে এ মামলা করা হয়। পরে শুক্রবার উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০০জনকে আসামী করে একটি মামলা করে এবং একই দিন নাঙ্গলকোট পৌরসভা কাউন্সিলর শাহ খুরশিদ আলম মজুমদার বাদী হয়ে ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরো ৩৫০ বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামী করে আরেকটি মামলা করে। মামলায় আসামীদের মধ্যে এজাহার নামীয় ১৯ আসামীকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিদ্যুত, জ্বালানী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ও পুলিশের গুলিতে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বুধবার সকালে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট লোটাস চত্ত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দেয়। অপর দিকে একই সময়ে বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট রেল স্টেশন এলাকায় সমাবেশ ডাকে আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে নাঙ্গলকোট বাজার আওয়ামীলীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল ও গুলি ছুঁড়ে। উভয় পক্ষের সংঘর্ঘে ও টিয়ারসেল এবং রাবার বুলেটের আঘাতে ৫০শিক্ষার্থী, নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক হোসেন ও কয়েক পুলিশ সদস্য’সহ উভয় পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। সংঘর্ষের সময় লোটাস চত্ত্বর, পুলিশের পিকআপ, উপজেলা বিএনপি কার্যালয়, নাঙ্গলকোট এ্যাপোলো হাসপাতাল, কয়েকটি মোটর সাইকেল ও বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, বুধবারের ঘটনায় থানায় ৩টি মামলা হয়েছে। ১৯জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।