নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি::
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে নানার বাড়ীতে বেড়াতে এসে মামা-মামীর ঝগড়ার বলি হলেন জান্নাতুল ফেরদাউস নামে ২ বছর বয়সী এক শিশু। নিহত জান্নাত উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের ট্রাক চালক সোলাইমানের মেয়ে।
রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে নিহতের নানার বাড়ী পাশ্ববর্তী জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত জোড্ডা বাজারের বিসমিল্লাহ ইলেকট্রিকের মালিক শংকরপুর গ্রামের রুবেল হোসেন পলাতক রয়েছে।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামী শিরিন বেগমকে থানায় নিয়ে আসে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। ঘটনায় আহত অপর শিশু রুবেলের ভাই রাজা মিয়ার কন্যা ত্বোহা আক্তারকে (৩) হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শংকরপুর গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে ব্যবসায়ী রুবেল তার প্রথম স্ত্রী’র অজান্তে পরকিয়া করে উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের কেকৈয়া গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীকে দ্বিতীয় বিবাহ করে। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রী শিরিন বেগমের সাথে তার ঝগড়া বিবাদের এক পর্যয়ে স্ত্রীকে মারপিট করতে থাকে রুবেল। তাদের ঝগড়া থামাতে আসে শিরিনার জ্যা ও পাশ্ববর্তী বাড়ীর খালাত ননদ নিহত শিশুর মা লাকী বেগম।
স্বামীর পিটুনিতে এক পর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শিরিন, এসময় তার পিঠের নিচে চাপা পড়ে জান্নাত ও ত্বোহা নামে দুই শিশু আহত হয়। আহত শিশু দু’টিকে প্রথমে স্থানীয় ক্লিনিক ও পরে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত জান্নাতকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ইয়ামিন সুমন সঙ্গীয় ফোর্স।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ আ স ম আব্দুন নূর বলেন, শিশুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিরিন বেগম নামে এক নারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।