কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নের মগুয়া গ্রামের শামছুল আলম ও দিদারুল আলম মাসুদ নামের দুই ছেলের হামলা, মামলা ও প্রাণনাশের হুমকিতে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রাণ ভয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে তাদের পিতা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক নুরুল হক। এর জেরে শুক্রবার সকালে ডাঃ নুরুল হকের ছোট ছেলে মনজুরুল আলমের নির্মাণাধীন বাড়ীর মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। মাটি কাটতে বাধা দিলে অভিযুক্তরা কয়েক জন সন্ত্রাসী সহ তাদের বাবা ও ভাইয়ের উপর আক্রমন করে। খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মগুয়া গ্রামের শামছুল আলম ও দিদারুল আলম মাসুদ তার বাবা ডাঃ নুরুল হকের জীবদ্দশায় সম্পত্তি লিখে নিতে দীর্ঘদিন যাবৎ চেষ্টা করে আসছে। এ ব্যাপারে রাজি না হওয়ায় তারা তাদের পিতাকে বার-বার আক্রমণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়া, পিতার কাছ থেকে জমি লিখে নেয়ার বিষয়ে একমত না হওয়ায় তাদের বড় ভাই ঢালুয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার নুরুল আলম ও ছোট ভাই স্থানীয় আনন্দ বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী মনজুরুল আলমের উপর কয়েক দফা হামলা করে ও উল্টো মামলা দিয়ে বড় ভাই কাজী নুরুল আলমকে বাড়ী ছাড়া করে তারা। সর্বশেষ শুক্রবার সকালে অভিযুক্তরা কয়েক জন সন্ত্রাসী সহ তাদের ছোট ভাই মনজুরুল আলমের নির্মাণাধীন বাড়ীর মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে নেয়ার চেষ্টা করে, মাটি কাটতে বাধা দিলে তারা ভাই ও বাবার উপর হামলা করে। এসময় তাদের শোর চিৎকারে একই গ্রামের রবিউল আলম ও আলা উদ্দিন সহ কয়েকজন এগিয়ে গেলে তাদের উপরও চড়াও হয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় জাতীয় জরুরী সেবায় ফোন করলে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ইয়ামিন সুমন ও এমদাদুল হক সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এছাড়া, ডাঃ নুরুল হকের করা অভিযোগে তার ছোট ভাই একরামুল হককেও আসামী করেন তিনি।
অভিযুক্ত শামছুল আলম বলেন, আমাদের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বিরোধ আছে। এছাড়া আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে এগুলো মিথ্যা।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী পিতা ডাঃ নুরুল হক বলেন , আমার ছেলে শামছুল আলম ও দিদারুল আলম মাসুদ আমার কাছ থেকে জোর পূর্বক জমি গুলো লিখে নেতে চেষ্টা করছে। আমি রাজি না হওয়ায় তারা কয়েক বার আমাকে আক্রমণ করে । আমার ছেলে মনজুরুল আলম ও কাজী নুরুল আলমকে কয়েক দফা তারা মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। এখন আমি নিজে, আমার ছেলে মনজুরুল আলম ও নুরুল আলম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, যে কোন সময় তারা আমাদেরকে মেরে ফেলতে পারে। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগীতা চাই।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক ইয়ামিন সুমন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।