নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি: সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার রোধ ও অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমনে নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি) শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিতকতায় গতকাল বুধবার ১১ আগস্ট রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় সময় নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল শাহ আবদুল আজিজ আহমেদ এর দিক নির্দেশনায় অপারেশন উত্তরণ’ এর আওতায় ক্যাপ্টেন ওমর মোহম্মদ খালেদীন হৃদয় এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল বেঙডেফা ডাক্তারকাঁটা নামক স্থান হতে ৪০হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ ইয়াবা কারবারি কে আটক করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামী হলো মোঃসামছুদ্দিন(৩৬), পিতা-মোঃ নুরুল ইসলাম, গ্রাম- উলুচামরী, ২। মোহাম্মদ আলী (২৭), পিতা-মোঃ ইউনুস, গ্রাম-মগপাড়া, উভয়ের পোষ্ট-হ্নীলা বাজার, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজারকে আটক করে এবং পলাতক আসামী ৩। মোঃ ফারুক হোসেন (৩৭), ৪। হাজী জাহিদ (৪৮) উভয়ে মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ধৃত ১নং ও ২নং আসামীর মোবাইলের কথোপকথন ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী অনুযায়ী টহল দল বেঙডেফা ডাক্তারকাঁটা সাকিনস্থ নুরুল ইসলামের আকাশমনি গাছের বাগানে পৌঁছালে পলাতক আসামীদ্বয় তাদের হাতে থাকা কালো পলিথিন ফেলে দৌড়ে সীমান্তের জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে বিজিবি টহল দল কালো পলিথিনের ভিতর হতে ৪টি পলিপাইজার প্যাকেট প্রতি প্যাকেটে ১০,০০০ পিস করে সর্বমোট ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ধৃত ১নং আসামীর নিকট হতে একটি ভিভো মডেল-বি-৯১ ও একটি রবি সীম উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট এর সিজার মূল্য এক কোটি বিশ লক্ষ দশ হাজার টাকা।
১১ বিজিবির অধিনায়ক জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল শাহ আবদুল আজিজ আহমেদ জানান
সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ অস্ত্র, অবৈধ কাঠ পাচার ও পরিবহন, মাদকদ্রব্য পাচার, অন্যান্য যে কোন ধরনের অবৈধ পণ্য সামগ্রী পাচার এবং এই এলাকায় যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে বিজিবি’র এ ধরনের কার্যক্রম ও তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।