নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে ৭ম শ্রেনিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
জানা জায় ২৬ জুলাই সোমবার দুপুর ২টার দিকে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড তুফান আলী পাড়া গ্রামের নুরুল আলম প্রকাশ নুরুল আলম বৈদ্যর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। বিষয় টি পুলিশ অবগত হলে
বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) এনামুল হক ভুঁইয়া জানান সংবাদের ভিত্তিতে তিনি সংগীয় ফোর্স সহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম, ইউপি সদস্য আবু তাহের, চৌকিদার সৈয়দ হোসেন কে সাথে নিয়ে ঘটনা স্থলে গেলে ঘটক আবদুর রহিম পালিয়ে গেলে ও বাকিরা পালাতে পারেননি। ঐ সময় পুলিশ সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রী ছদ্মনাম (রাবেয়া) (১৩) কে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতির কথা স্বীকার করে।
পুলিশ মেয়ের বাবা নুরুল আলম বৈদ্যকে সতর্ক করেন এবং ছেলে একই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড পশ্চিম নারিচ বুনিয়া গ্রামের লাল মিয়ার পুত্র মোঃ পারভেজ (২২) সহ পিতা পুত্রকে সতর্ক করে বলেন প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে বিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকতে এবং ছেলে মেয়ে উভয় কে বাল্য বিয়ে থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন। পরে ছেলে ও মেয়ের পিতাকে প্রথম বারের মুছলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে পুলিশের তাৎক্ষণিক বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার সাধুবাদ জানিয়েছেন শত শত স্থানীয় নারী পুরুষ।
অপর দিকে মেয়ের মা জানান লক ডাউনের কারনে পড়া লেখা বন্ধ থাকায় উপায় অন্তর না দেখে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে এখন তিনি বাল্য বিয়ে বন্ধের পক্ষে।