ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা গেইটের সামনে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে থানা পুলিশসহ ১০জন আহত হয়েছেন। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ দু-পক্ষের ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে নবীনগর শ্রীরামপুর, নবীনগর থানা গেইট ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইমার্জেন্সিতে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- নবীনগর উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আজিজ, এসআই আশরাফুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল্লাহ আল মামুন, শাওন মিয়া (৩০), কাউছার মিয়া (৪৫), ছুবুর মিয়া (৩০), পাবেল মিয়া (৩৪) ও রাজিব (৩০)।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং, নবীপুর ও পৌরসভার আলমনগর গ্রামের যুবকদের মধ্যে গত কয়েক মাস যাবত বিরোধ চলে আসছিল। আজকে শনিবার সকালে শাওন নামে এক যুবককে শ্রীরামপুর এলাকায় সিএনজি থেকে নামিয়ে মারধর করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দুপুরে নবীনগর থানা গেইটের সামনে শাওনের মামা কাউসার মিয়ার সাথে আলমনগর গ্রামের রাজিব ও রবিনের দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গিয়ে নবীনগর থানার পুলিশসহ ৮ জন আহত হয়।
আহতদের চিকিৎসার জন্য নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানের ইমার্জেন্সি বিভাগে আবার দু’পক্ষের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে আবার হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মেহেদী হাসান, শাওন, কাউছার, ছবুর, পাবেল ও রাজিবকে আটক করা হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র দু’পক্ষের যুবকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে ঝগড়া থামাতে গিয়ে ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন আহত হয়েছে। কিছু দেশি অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধারসহ সংঘর্ষের সাথে জড়িত ৬জন আটক করেছি। পুলিশের উপর হামলার দায়ে দু’পক্ষের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।