দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি মঙ্গলবার। জাতীয় পার্টি (জাপা) না, স্বতন্ত্র জোট, কারা হবে দ্বাদশ সংসদের বিরোধী দল, তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষের আসন বণ্টনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। সেখানে বিরোধীদলীয় নেতার আসনটি জাপা চেয়ারম্যান ও একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
জাপা সদস্যদের পর বিরোধী দলের সারিতে আসন বরাদ্দ পেয়েছেন কয়েকজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য।
অধিবেশনের সব প্রস্তুতি এর মধ্যে সম্পন্ন করেছে সংসদ সচিবালয়। প্রথম দিন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। যেখানে স্বতন্ত্ররা ৬২টি আসনে জয়ী। স্বতন্ত্রদের ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। এতে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে কে বসতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে নানা আলোচনা ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে আজ রবিবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সরকারি বাসভবন গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বতন্ত্রদের অবস্থান সরকারি দলে, নাকি বিরোধী দলে হবে, বৈঠকে তা নির্ধারণ করা হবে। একই সঙ্গে সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
সর্বশেষ আসন বণ্টনেও তার কথার সত্যতা মিলেছে। প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হওয়া আসন বিন্যাসে বিরোধীদলীয় নেতার আসনটি জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। পরের আসন দেওয়া হয়েছে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে। সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, সংসদ নেতার নির্দেশ ও স্পিকারের পরামর্শ অনুযায়ী চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী আসন বিন্যাস প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন। আসন বিন্যাসে একাধিকবার নির্বাচিত, রাজনৈতিক দলে অবস্থান, ভোটের ব্যবধান, জনপ্রিয়তাসহ কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।