মানহীন ও নকল কসমেটিকস বাজারজাত ঠেকাতে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘ওষুধ ও কসমেটিকস’ বিল-২০২৩ পাসের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে ‘বাংলাদেশ চিকিৎসা শিক্ষা অ্যাক্রেডিটেশন বিল- ২০২৩’ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে বিল দুটি পাসের সুপারিশ সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ডা. আ. ফ. ম রুহুল হক, মুহিবুর রহমান মানিক, মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, মো. আব্দুল আজিজ, সৈয়দা জাকিয়া নুর, রাহ্গির আলমাহি এরশাদ ও মো. আমিরুল আলম মিলন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওই বিলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কসমেটিকস বিক্রি, আমদানি ও উৎপাদন করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর লাইসেন্স অথোরিটি হিসেবে কাজ করবে। এখন যারা কসমেটিকসের ব্যবসা বা উৎপাদন করছেন তাদের লাইসেন্স নিতে হবে।
এজন্য ওষুধ প্রশাসন বিধি প্রণয়ন করবে। বিলের তফসিলে ৩০ ধরনের অপরাধ চিহ্নিত করে সেগুলোর ক্ষেত্রে কী সাজা হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অপরাধের ধরণ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা জরিমানা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
সেই কাউন্সিলই অ্যাক্রেডিটেশনের বিষয়গুলো দেখভাল ও নীতিমালা প্রণয়ন করবে। এই কাউন্সিল হবে ১৯ সদস্যের। এর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে অ্যাক্রেডিটেশনের মানদণ্ড নির্ধারণ করা হবে।