অনলাইন ডেস্ক: হঠাৎ করে ব্যাপক হারে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার কারণে উৎকন্ঠা তৈরি হয়েছে নাগরিক সমাজে। সমাজ ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন মহামারীর এই সময়ে বেপরোয়া ধর্ষণের কারণ হচ্ছে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়। দুষ্টচক্রের রাহুগ্রাস সর্বোচ্চ বেড়ে যাওয়ার কারণে অপরাধীরা বেপরোয়া অবস্থান নিয়েছে। এখনই ধর্ষকদের প্রতিরোধের সময়।সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জাতীয় জনতা ফোরামের নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।
তারা বলেন, আধ্যাত্মিক রাজধানী খ্যাত পূর্ণ ভূমি ৩৬০ আউলিয়ার ভূমি সিলেটের এমসি কলেজে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে আটকে জোর করে কলেজের ছাত্রাবাসে তুলে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় আমরা,দুঃখিত, লজ্জিত ও আতংকিত।
জাতীয় জনতা ফোরাম প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও জেনএফ ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ডিইউজে সদস্য প্রকাশক মোহাম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ধর্ষণকদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর শাস্তির পাশাপাশি এমন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে তারা সমাজের কোথাও ঠাই না পায়। ধর্ষণের শত্রু আইনের শত্রু প্রয়োগ চাই। সিলেটের এমসি কলেজের এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার আমি ও আমরা তীব্র নিন্দা ঘৃণা জানাচ্ছি।
তারা বলেন, ধর্ষকদের ব্যাপারে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে । আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে, যাতে কোনো ফাঁকফোকর দিয়ে ধর্ষকরা বেরিয়ে যেতে না পারে। সেই দিকে লক্ষ রাখতে হবে। দেশে চরম নৈরাজ্য চলছে। সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ও ভয়াবহ। এটাই দেশের প্রকৃত চিত্র। এখানে কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। দেশে একটা আইনহীনতা চলছে এবং তা আওয়ামী লীগের সৃষ্ট। অবিলম্বে ছাত্রলীগের এই দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই এ ধরনের নৈরাজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। তারা সারা দেশের মানুষের মধ্যে একটা ত্রাস সৃষ্টি করতে পেরেছে। একটা ভয়ভীতির রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। আজ সমাজের প্রত্যেকটা স্তরে একটা নিরাপত্তার অভাব। এক ধরনের ভয়ভীতি কাজ করছে। সেই হিসেবে সরকারের চত্বছায়ায় আজ ছাত্রলীগের থাকা ধর্ষণে নতুন কিছু নয়।
বিবৃতিতে আরো স্বাক্ষর করেন : সংগঠনের উপদেষ্টা সদস্য অধ্যাপক ডাক্তার শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, এডভোকেট মাওলানা রশীদ আহমদ, প্রকৌশলী আ হ ম মনিরুজ্জামান দেওয়ান মানিক, সংগঠনের সদস্য সচিব ডাক্তার শাকিলুর রহমান, জেএনএফ এর সভাপতি এনামুল হক কাফি,
যুগ্ম আহবায়ক মাহি আল ফয়সাল খান, যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট মোহাম্মদ সপ্নীল সরকার, যুগ্ম আহবায়ক ইব্রাহিম খলিল, সদস্য ইহাম মুজাহিদ, মোকাদ্দিস চৌধুরী, শোয়েবুর রহমান, তারিকুল ইসলাম মুন্না প্রমুখ।