সুজল খাঁন, মধুখালী প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের জগন্নাথদী গ্রামের আজিজার মল্লিকের মেয়ে শিমু আক্তার(১৪) প্রতিবন্ধী কিশোরী ভালোবাসার ফাঁদে পড়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কিশোরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মধুখালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সূত্রে জানা যায়,, একই গ্রামের হারান শেখের ছেলে হৃদয় শেখ (২২) দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিবন্ধী কিশোরীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে হৃদয় সেক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ তাকে ধর্ষণ করে আসছে। প্রতিবন্ধী কিশোরী শিমু আক্তার সাংবাদিকদের বলেন হৃদয় শেখ আমাকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে এবং বিয়ে করতে চেয়ে আমাকে স্বপ্ন দেখাতো এবং অনেক সময় অনেক জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যেতো, আমার কাছ থেকে টাকা নিত এবং আমাদের বাড়ির পাশে মল্লিকের লিচুর বাগানে দেখা করার জন্য বলতো এবং আমি সেখানে হৃদয় শেখের সাথে দেখা করতে গেলে শারীরিক সম্পর্কে প্ররোচনা দিতে থাকে। হৃদয় তার বাড়িতে আমাকে যেতে বলে আমি রোজার আগে হৃদয়ের বাড়িতে গিয়েছিলাম কিন্তু হৃদয়ের বাবা-মা কাকি এবং হৃদয় সহ আমাকে মারধর করেন পরবর্তীতে আমি বাড়ি চলে আসি, আমি এখন ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, আমি এর সঠিক বিচার চাই।
মেয়ের ভাবি তানজিমা বেগম বলেন আমি যখন এই রিলেশন টার ব্যাপারে জানতে পারি তখন হৃদয় শেখের সাথে কথা বলে তাকে অনেক বুঝায়ে বলি শিমু প্রতিবন্ধী আবেগ দিয়ে জীবন চলে না কিন্তু ছেলেটি কথা শোনেনি আমি এর বিচার চাই।
হৃদয় শেখের সাথে দেখা করতে গেলে তিনি বাড়ি না থাকায় এবং ফোন বন্ধ থাকায় দেখা বা কথা হয়নি হৃদয় শেখের মা এবং বাবা বলেন হৃদয়ের সাথে শিমুর সম্পর্ক জানতে পেরে আমি হৃদয়কে রাগ করি তারপর থেকে আমার ছেলে ওই মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখেনি। পরবর্তীতে শিমুর ফ্যামিলির সাথে কথা বলে আমার ছেলেকে অন্য একটা মেয়ের সাথে বিবাহ দেই।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মধুখালী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।