সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে ১৬.২৭ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে চাল ১২.২৫ মেট্রিক টন, গম ৩.৯৬ মেট্রিক টন এবং ধান ৯ হাজার মেট্রিক টন।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারদলীয় সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ।
লিখিত জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, খাদ্য মজুদ বাড়াতে বর্তমান বোরো সংগ্রহ মৌসুমে চার লাখ মেট্রিক টন ধান ও ১২.৫০ মেট্রিক টন চালসহ চাল আকারে সর্বমোট ১৫.১০ লাখ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। অধিকতর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত (২৩ মে ২০২৩) ৬.৩৪ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ৬.৮০ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩২ হাজার ৫৮১ লাইন কিলোমিটার ২ডি এবং ছয় হাজার ২২২ বর্গকিলোমিটার ৩ডি সিসমিক সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। এ সময়ে ২০টি অনুসন্ধান কূপ, ৫৪টি উন্নয়ন কূপসহ ৭৪টি কূপ খনন এবং ৪১টি কূপে ওয়ার্কওভার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ফলে ছয়টি গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত খননকৃত মোট অনুসন্ধান কূপের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ বর্তমান সরকারের আমলে হয়েছে।
সিইপিএ স্বাক্ষরিত হলে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ১৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে জিডিপি ১.৭২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন