বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) থেকে প্রকাশিত ‘খানার আয়-ব্যয়ের জরিপ ২০২২’-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের মানুষ এখন প্রতিদিন গড়ে ৩২৮ গ্রাম ভাত গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে ভাত গ্রহণের পরিমাণ ছিল ৩৬৭ গ্রাম। ওই সময় দৈনিক ১৩.৬ গ্রাম ডিম গ্রহণ করা হলে এখন তা কমে ১২.৭ গ্রামে নেমে এসেছে। একই সময়ে পেঁয়াজ গ্রহণের পরিমাণও কমেছে।
বিবিএস বলছে, শহর-গ্রামের তুলনা করলে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পরিমাণ গ্রামে বেশি। গ্রামে বসবাসরত জনসংখ্যার ২২.৩৬ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। শহরে এ হার ১৮.৩৭ শতাংশ।
এ সময় জানানো হয়, দেশে এখন সার্বিক দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ।
হোসেন জিল্লুর রহমান আরো বলেন, ‘শহরের দারিদ্র্য কমলেও আর্থিক দুর্বলতা বেড়েছে। মধ্যবিত্তের আয় কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ, একই সঙ্গে কমেছে খাদ্যগ্রহণও। দেশের জনসংখ্যার ২১.১১ শতাংশ বা প্রতি পাঁচজনে একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
ঢাকায় দারিদ্র্যের হার ১৭.৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৫.৮ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৬.৭ শতাংশ, সিলেটে ১৭.৪ শতাংশ, রংপুরে ২৪.৮ শতাংশ আর ময়মনসিংহে ২৪.২ শতাংশ। রংপুরে কমে বরিশালে দারিদ্র্য বেড়ে দেশের সর্বোচ্চ হয়েছে।