আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেলের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ পথ হারায়নি। যেটি আমাদের প্রচেষ্টা ছিল, আমাদের সাধারণ মানুষ যেন সবাই যাতায়াত করতে পারে। ট্রাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি পায়। কর্মঘণ্টা বাঁচে।
আর্থিকভাবে মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, বরং লাভবান হয় এবং সময়ের সঙ্গে যেন চলতে পারে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই যোগাযোগব্যবস্থা করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম।’
আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত মেট্রো রেল সার্ভিসের দ্বিতীয় ধাপের উদ্বোধন শেষে অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমি খুবই আনন্দিত।
আজকে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চালু করেছি। এটি মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত আমরা এক্সটেনশন করব।’
জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মেট্রো রেল নির্মাণে জাপান সরকার বিনিয়োগ করেছে। আমরা জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।
মেট্রো রেল নির্মাণে যারা জড়িত তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জাতিকে শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এখন আমাদের স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি। এটাই আমার বড় আকাঙ্ক্ষা।
বাংলাদেশ কারো কাছে হাত পেতে চলবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবা বাঙালি জাতিকে একটা উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবন দেবেন বলেই এ দেশকে স্বাধীন করেছেন। আমার একটাই প্রত্যয়, আমি বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। আমার আমিত্ব বলে কিছু নেই। আমি নিজেকে উৎসর্গ করেছি এ দেশের মানুষের কল্যাণে। মানুষ যখন শান্তি পাবে, তখন আমার বাবাও শান্তি পাবেন, তিনি খুশি হবেন, তিনি নিশ্চয়ই সেটা দেখছেন।’
এর আগে ২টা ৩৪ মিনিটে নিরাপত্তার জন্য উদ্বোধনী ট্রেনটি মতিঝিলের উদ্দেশে ছেড়ে চলে যায়। এরপর ২টা ৪২ মিনিটে মেট্রো রেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে মেট্রো রেলে চড়েন প্রধানমন্ত্রী। মেট্রো রেলটি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মাত্র ২১ মিনিটে পৌঁছোয় মতিঝিল স্টেশনে। প্রধানমন্ত্রী যখন মতিঝিল স্টেশনে পৌঁছেন তখন বাজে বিকেল ৩টা ০৩ মিনিট।
আগামীকাল রবিবার (৫ নভেম্বর) থেকে তিন স্টেশন দিয়ে শুরু হবে মতিঝিল অবধি স্বস্তির মেট্রোযাত্রা। প্রাথমিকভাবে উত্তরা পর্যন্ত চলবে চার ঘণ্টা। ১০ মিনিট পর পর আসবে ট্রেন। এর আগে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেলের উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উন্নত দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানজটের মহানগরীতে মেট্রো রেলের যুগে প্রবেশ করেছিল বাংলাদেশ।