অনলাইন ডেস্ক:
জাতীয় সংসদের শূন্য তিনটি আসনের উপনির্বাচনের ভোটের এক মাসের বেশি সময় আগেই দুটি আসনে ফায়সালা হয়ে গেছে। অর্থাৎ এই দুটিতে আর ভোটের প্রয়োজন হবে না। কারণ কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের মতো ঢাকা-১৪ আসনেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বীরা তাঁদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এর ফলে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসাররা আজ বৃহস্পতিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় পার হওয়ার পর কুমিল্লা-৫ আসনে আবুল হাসেম খান ও ঢাকা-১৪ আসনে আগা খান মিন্টুকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে পারেন। তবে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে বলেই রিটার্নিং অফিসার মোহা. ইসরাইল হোসেনের ধারণা।
আগামী ২৮ জুলাই এই তিন আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ছিলেন চারজন। এর মধ্যে তিনজন গতকাল বুধবার তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার শাহজালাল জানান, জাতীয় পার্টির মোস্তাকুর রহমান, বিএনএফের কে ওয়াই এম কামরুল ইসলাম ও জাসদের আবু হানিফ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে আগা খান মিন্টু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
গত ৪ এপ্রিল আওয়ামী লীগ নেতা সংসদ সদস্য মো. আসলামুল হকের মৃত্যুতে ঢাকা-১৪ আসনটি শূন্য হয়।
কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ছিলেন দুজন। তাঁদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন গত ২০ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। ফলে এই আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসেম খান।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর বিষয়ে জসিম উদ্দিন বলেছিলেন, ‘এখন কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ২৪ তারিখ (আজ বৃহস্পতিবার) আনুষ্ঠানিকভাবে সব বলব।’ অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘হাসেম খান সাহেব ভালো মানুষ। এই করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচনের মাঠের অবস্থাও তেমন ভালো না। তাই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কুমিল্লা-৫ আসনটি শূন্য হয় গত ১৪ এপ্রিল সাবেক আইনমন্ত্রী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে।
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসার মোহা. ইসরাইল হোসেন গতকাল বলেন, ‘আসনটিতে আজ (গতকাল) আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে আপিল নামঞ্জুর করেছেন নির্বাচন কমিশন। ফলে তাঁর প্রার্থিতা বহাল রয়েছে। এ ছাড়া আরো তিনজন বৈধ প্রার্থী রয়েছেন। আমরা এই আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এই আসনে অন্য তিন প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস মারা যান। এরপর গত ১১ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।