কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) এস এম তাহসিনুল হকের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৮ মাস গোডাউন শ্রমিকদের বেতন বিল না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ ৮ মাস বেতন বিল না পেয়ে অসহায় হয়ে মানবেতর জীবন যাপন পার করছে কুষ্টিয়ার প্রত্যেকটি খাদ্য গোডাউনের শ্রমিকেরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় খাদ্য গোডাউনের শ্রমিকদের বেতন বিল ঠিকাদারদের মাধ্যমে বন্টন করা হয়। কুষ্টিয়া জেলাতেও একইভাবে ঠিকাদারদের মাধ্যমে বেতন বিল দেওয়া হতো।বর্তমানে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শ্রমিকদের বেতন বিলের টাকা হরিলুট করছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকেরা।
ভুক্তভোগী সাধারণ শ্রমিকরা জানান, কুষ্টিয়া জেলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) হিসেবে এস এম তাহসিনুল হক যোগদান করার পর থেকে পাল্টে গিয়েছে চিত্র।তিনি ঠিদারদের বাদ দিয়ে এখন নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন শ্রমিকদের বেতন বিল দেওয়ার। এস এম তাহসিনুল হক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রায় ৮ মাস শ্রমিকেরা কোন বেতন বিল পান নাই বলে জানিয়েছে।
খাদ্য গোডাউনের শ্রমিক সর্দার আব্দুল বারিক বলেন, দীর্ঘ ৮ মাস শ্রমিকদের কোন বেতন বিল দেওয়া হয় নাই। আগে যখন ঠিকাদারের মাধমে আমাদের বেতন বিল দিতো আমরা তখন প্রতিমাসের ১ তারিখের মধ্যে বেতন বিল পেয়ে যেতাম। বর্তমানে জেলা খদ্য নিয়ন্ত্রক নিজে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আমরা কোন বেতন বিল পাই নাই। আমরা সাধারন শ্রমিকরা যদি পরিশ্রম করে তাদের বেতন বিল না পাই তাহলে কিভাবে আমাদের সংসার চলবে। আমাদের এই দুঃসময়ে বেতন দেওয়ার কথা বলে মাসের পর মাস ঘোরাচ্ছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম তাহসিনুল হক।আমাদের সবার দাবি বকেয়া বেতন বিল পরিশোধ করে দেওয়া হোক এবং পুনরায় ঠিকাদারের মাধ্যমে বেতন বিল দেওয়া হোক।
এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম তাহসিনুল হক বলেন, ডিসেম্বর ২০২০ সালের শেষের দিকের নির্দেশনা মোতাবেক ঠিকাদার বাদে মাষ্টার রুলের মাধ্যমে বেতন বিল দেওয়ার নির্দেশ হয়েছে। সেই নির্দেশ মোতাবেক কার্যক্রম চলছে। শ্রমিকদের বেতনের জন্য কুষ্টিয়া জেলা হিসাব রক্ষক অফিসে বিলের জন্য কাগজ পাঠানো হয়েছে কিন্তু তারা এখনো কোন বিল আমাদের দেয় নাই। আমাদের হাতে বিল আসলে শ্রমিকদের বিল দেওয়া হবে।