মোঃ আকরামুজ্জামান আরিফ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুমারখালী উপজেলার আলু’র ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় শিক্ষিত ও বেকার যুবকদের মধ্যে আলু চাষের আগ্রহ বেড়েছে। এবছর বানিজ্যিক ভাবে (প্রজেক্ট আকারে) আলু চাষ করা এসব স্ব-শিক্ষিত থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষিত যুবকদের অনেকেই এখন প্রতিষ্ঠিত ও স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফলে, চাকরীর পেছনে না ছুটে বানিজ্যিক ভাবে আলু চাষের জন্য জমিতে ছুটে যাচ্ছেন শিক্ষিত ও বেকার যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার সমপৃক্তরাও।আলু চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে আলু চাষ করে আসা চাষীরা এবছর ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় অনেকেই এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন। ফলে, শিক্ষিত ও বেকার যুবকরাও এবছর বানিজ্যিক ভাবে আলু চাষের আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এসব শিক্ষিত বেকার যুবকদের অনেকেই এবছর ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে বানিজ্যিক ভাবে আলু চাষ করছেন।আলু চাষীরা বলছেন, প্রতি একর জমিতে ১২০ থেকে ১৩০ মন আলু চাষ করা সম্ভব। বানিজ্যিক ভাবে আলু চাষের ৩মাসের পরিশ্রমে অনেকেই এখন লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। কম সময়ে বেশী লাভ হওয়া উৎপাদনশীল ও মহতী এই পেশায় নাম লিখিয়েছেন অনেক কৃষক।চাকুরীজীবিসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। পেশা দারিত্ব বজায় রেখে আলু চাষ করা সম্ভব হওয়ায় আলু চাষে সমপৃক্ত হচ্ছেন তারা।উপজেলা মহেন্দ্রপুর গ্ৰামের আলু চাষি আবুল হোসেন বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি আমার এক বন্ধুর পরামর্শে গত বছর ১০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছি। এবছর ১৫বিঘা জমিতে আলু চাষ করছি।তিনি বলেন, কুষ্টিয়া বিএডিসি থেকে আমাদের আলুর বীজ,ওষুধ এবং পরামর্শ দিচ্ছে। বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার, কৃষিতে ব্যাপক ভুর্তুকি দেয়ার কারণে কৃষকরা চাষাবাদে হওয়ায় গ্রামীন কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। চাকুরীর চেয়ে এখন চাষাবাদ করেই সাবলম্বী হওয়া সম্ভব বলেও জানান তিনি। তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, উপজেলার ৩ টি ইউনিয়নে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১শ ৩৫ হেক্টর জমিতে হলেও এবার ১শ ২০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভাল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষাবাদ উপযুক্ত মাটি থাকায় আলুর এ বাম্পার ফলন হয়েছে । কম শ্রমিক ও খরচ কম হওয়ায় আলু চাষের দিকে কৃষকরা ঝুকতে শুরু করেছেন। উপজেলার চর সাদিপুর, জগন্নাথপুর, মহেন্দ্র পুর , যদুবয়রা, নতুন আলু চাষীদের চাষাবাদে আগ্রহী করে তুলতে সরকার ব্যাপক ভাবে ভুর্তুকি দিচ্ছেন। তিনি বলেন কৃষকসহ আলু চাষীদের জন্য কৃষি অফিস থেকে সকল প্রকার সহায়তার পাশাপাশি বিএডিসি থেকে সকল ধরনের সাহায্য করা হচ্ছে । শিক্ষিত বেকার যুবকরা কৃষি কাজে সম্পৃক্ত হলে কৃষিতে উন্নয়নের পাশাপাশি আধুনিকায়নের প্রয়াস ঘটবে। তিনি সকলকে সাধ্যমত যার যেখানে যা আছে তাই নিয়েই কৃষিতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান ।