ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্কে উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশি উদ্ধারকারী দল। বৈরি আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়েই তুরস্কের আদিয়ামান শহরে ধসে পড়া ভবনে আটকে পড়াদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষীণ হয়ে আসছে জীবিত উদ্ধারের আশা। এমন বৈরী আবহাওয়ায় খাবার বা পানি ছাড়া ধ্বংসস্তূপে এতক্ষণ টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। তবে আশার খবর হচ্ছে, এখনো মিলছে প্রাণের সন্ধান। উদ্ধার হচ্ছে জীবিত মানুষ।
এদিকে ভূমিকম্প পরবর্তী সাহায্যের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ত্রাণ এবং চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান গত রাতে সিরিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে। ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে বড় তাবু, ছোট তাবু, কম্বল, সোয়েটার, শুকনা খাবার এবং ওষুধ। এই মিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিমান বাহিনীর গ্রুপ ক্যাপ্টেন জামিল উদ্দিন আহমেদ।
আইএসপিআর জানায়, বিমান বাহিনীর এই পরিবহন বিমানটির বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা-জর্ডান-সিরিয়া রুটে পরিচালনা করা হবে। সিরিয়ায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর পর বিমানটি পুনরায় বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ৪৬ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০জে পরিবহন বিমান যোগে তুরস্কের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। দলটিতে সেনাবাহিনী থেকে ২৪ জনের একটি মধ্যম উদ্ধারকারী দল, ১০ জনের মেডিকেল টিম এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১২ জন সদস্য রয়েছেন। উদ্ধারকারী দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মো. রুহুল আমিন। এ বিমানটি ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবে।