অনলাইন ডেস্ক:
আফগানিস্তানের কাবুলে তালেবান বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে তালেবান শাসনের বিরোধিতা করে কাবুলে নারীদের বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছিল। মিছিলটি কাভার করার সময় ওই দুই সাংবাদিককে আটক করে তালেবান। পরে তাদের মারধর করা হয়।
আহত সাংবাদিকরা হলেন তাকি দারিয়াবি এবং নিমাত নাকবি। তারা কাবুলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এতিলাত-ই-রোজে কাজ করেন। জানা গেছে, আটক করার পর দুই সাংবাদিককে কাবুলের একটি থানায় নেওয়া হয়। সেখানে তাদের বেধড়ক মারধর করে পরদিন ৮ সেপ্টেম্বর ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তারা।
এতিলাত-ই-রোজ সম্পাদক জাকি দারিয়াবি বলেন, আমার দুই সহকর্মী জানিয়েছেন তালেবান তাদের চার ঘণ্টা ধরে পিটিয়েছে। নৃশংস এই নির্যাতনে চারবার জ্ঞান হারিয়েছেন দুই সাংবাদিক। পিঠ ও পায়ে পেয়েছেন অবর্ণনীয় ব্যথা। নিমাত নাকবি বলেন, তারা আমাকে বলেছিলেন, আপনি ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন না। যারা ছবি ও ভিডিও ধারণ করছিলেন, তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পরে তালেবান সদস্যরা আমাকে অপমান করতে শুরু করেন। আমাকে লাথি মারতে থাকেন। যখন তিনি তালেবানকে জিজ্ঞেস করেন, কেন তাকে মারধর করা হচ্ছে, তখন তাকে বলা হয়, ‘তুমি ভাগ্যবান যে তোমার শিরশ্ছেদ করা হয়নি।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, ওই দিন টোলো নিউজের ফটো জার্নালিস্ট ওয়াহিদ আহমাদিকেও আটক করে তালেবান। তবে ক্যামেরা জব্দ করে ওই দিনই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এদিকে তালেবানের নির্যাতনে আহত দুই সাংবাদিকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
আফগানিস্তানে মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা রক্ষার যে প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছে, আদৌ তা রক্ষা করা হবে কি-না এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সূত্র : স্কাই নিউজ, মেট্রো, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস, এতিলাত-ই-রোজ