ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ পৌরসভার উন্নয়নের জন্য যতোটা সম্ভব ততোটাই করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মেয়র। পৌরসভার সকল কাউন্সিলরদের সমন্বয়ে প্রতিটি এলাকায় ছুটে চলেছেন তিনি। গুরুত্বানুসারে পৌরসভায় ফান্ড থাকা সাপেক্ষে কাল বিলম্ব না করে টেন্ডার করে যাচ্ছেন রাস্তাঘাট ড্রেনসহ সকল বিষয়ে। আশা করা যায়, পৌরসভার শতভাগ রাস্তা, ড্রেন, পানিসহ যাবতীয় সমস্যা সমাধান করতে সর্বোচ্চ ১ বছর লাগবে।
এছাড়া জটিলতা থাকায় যে কাজ গুলো পৌরসভার টাকায় করা সময় সাপেক্ষ বা কঠিন সেগুলো মেয়র মহোদয় নিজস্ব অর্থায়নে জাহেদী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করছেন। যেমন গত ৫/৬ মাস ধরে প্রায় ৬০/৬৫ জন লেবার প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন ড্রেন থেকে ময়লা পরিস্কার করছেন, প্রতিদিনই মশা নিধনের স্প্রে দিয়ে বেড়াচ্ছেন শহরজুড়ে অনেকগুলো টিম, প্রায় ১২ জন আমিন নিযুক্ত করেছেন মেয়র মহোদয়। নিজস্ব অর্থায়নে মাসিক বেতন দিয়ে যারা প্রতিদিন পৌরসভার সকল জমি মেপে পৌরসভার জমি দখলমুক্ত করছেন। পৌরসভায় প্রয়োজনের তুলনায় জনবল কম হওয়ায় ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা থাকায় প্রায় ৫২ জন লোক কাজ করছেন মেয়রের নিজস্ব অর্থায়নে জাহেদী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। পৌরসভার যে রাস্তাগুলো ৬ ফিট তা ৮ ফিট, যে রাস্তা ৮ফিট তা ১০ ফিট, যে রাস্তা ১০ফিট তা ১২ ফিট করতে মেয়র মহোদয় কাজ করছেন। এক্ষেত্রে অনেক স্থানে রাস্তার পাশে পৌরসভার জমি না থাকায় জমির মালিকগন জমির দাম দাবি করলে মেয়র মহোদয় নিজস্ব অর্থায়নে জমির দাম পরিশোধ করে হলেও রাস্তা প্রশস্ত করছেন। এই শহরকে পরম মমতায় মনের মাধুরী মিশিয়ে সুন্দর, পরিপাটি, নান্দনিক তিলোত্তমা ঝিনাইদহ গড়ার অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মেয়র মহোদয় পৌর কাউন্সিলর ও পৌরসভার সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। সারা বাংলাদেশের মধ্যে এটা বিরল দৃষ্টান্ত যে, একজন মেয়র পৌরসভার টাকা ছাড়াও তাঁর নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিমাসে অর্ধকোটি টাকার ও অধিক ব্যয় করছেন। পৌরসভার মানুষের জীবন মান উন্নয়নের, সারা দেশে খুব কমই আছেন যিনি নিজের কষ্টার্জিত অর্থ অকাতরে বিলিয়ে যান মানুষের জন্য, এই শহরের উন্নয়নের জন্য, সকলকে নিয়ে ভালো থাকার জন্য, এই শহরের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য। এমন অতুলনীয়, দানবির, কর্মদক্ষ, যোগ্য নেতৃত্ব আমাদের ঝিনাইদহের ইতিহাসে সত্যিই বিরল। তিনি আমাদের ঝিনাইদহবাসীর জন্য আল্লাহ’র রহমত। ঝিনাইদহ পৌরবাসির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা মেয়র মহোদয়ের প্রতি।