সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
“আমার ছবি তুলতে হলে অনুমতি নিতে হবে! নিউজ করতে অনুমতি নিতে হবে! কে অনুমতি দিয়েছে এখানে আসার? সোমবার (২৫ জানুয়ারী) স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে এমন বিক্ষিপ্ত আচরণসহ সংবাদের তথ্য সংগ্রহে বাঁধা প্রদান ও সাংবাদিকের সাথে উত্তেজিত কথাবার্তা বলেন মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ। এ নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক ও সচেতন মহলের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা যায়, সোমবার (২৫ জানুয়ারী) দুপুরে বালুচর ইউনিয়নের চর পানিয়া গুচ্ছগ্রামের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে চলমান বিভেদের কারণ সরেজমিনে পরিদর্শনে যান উপজেলা ভূমি অফিসার আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ। সেখানে সালাহউদ্দিন সালমান নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ তার সাথে উত্তেজিত কথাবার্তা সহ সরাসরি নিউজের তথ্য সংগ্রহে বাঁধা প্রদান করেন। ওই সাংবাদিক সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক, দৈনিক মানবকন্ঠের সিরাজদিখান প্রতিনিধি ও দৈনিক সভ্যতার আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন। সাংবাদিক সালাহউদ্দিন সালমান জানান,আমি তথ্য সংগ্রহের জন্য গুচ্ছগ্রামে গেলে সেখানে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ মহোদয়ও আসেন তারা কয়েক জন সঙ্গবদ্ধ ভাবে একটা সীমানা পিলার পরিদর্শন করার সময় আমি ছবি তুলতে গেলে আমাকে সরাসরি বাঁধা দিয়ে উত্তেজিত হয়ে একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ। আমি আমার পত্রিকা এবং সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের পরিচয় দিলেও কোন রেহাই পাইনি। উল্টো তিনি বিক্ষিপ্ত ভাষায় বলেন, আমার ছবি তুলতে হলে অনুমতি নিতে হবে! নিউজ করতে অনুমতি নিতে হবে! কে অনুমতি দিয়েছে এখানে আসার? খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিরাজদিখান ভূমি অফিসে ভূমি কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ এ উপজেলায় যোগদান করার পর থেকেই সমগ্র উপজেলাবাসী ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে চাপা কোণঠাসা আবস্থায় অবস্থান করছেন। কোন কাজের জন্য তার দ্বারস্থ হলে তার আত্ম অহমিকাময় কথাবার্তায় অনেকে বিব্রত হয়ে কাজের কথা না বলে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন বলে অনেকেই অভিযোগ তোলেন। এছাড়া তিনি এই উপজেলায় আসার পর সরাসরি কয়েকটি পত্রিকা ও গণমাধ্যম কর্মীদের কটাক্ষ করে কথাও বলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার যোগদানের পর অবৈধ ভাবে চার ফসলি মাটি কাটা থেকে শুরু করে অবৈধ মাহেন্দ্রা চলাচল বেড়েছে ব্যাপক হারে। যা তুলনামূলক ভাবে আগের তুলনায় দ্বিগুণ।বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলেও কোন রকম প্রতিকার পায়নি সিরাজদিখান উপজেলাবাসী। এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন আমি বিষয়টি জানিনা এইমাত্র শুনলাম।