নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী সদর উপজেলার সেটেলমেন্ট অফিসে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম দীর্ঘদিন থেকে চলছে। এই দুর্নীতি অনিয়মের নথীগুলোর বিভিন্ন তথ্য চেয়ে তথ্য ফরমে আবেদন করেও তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।
নোয়াখালী সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার (অঃ দঃ) নিমাই চাঁদ দেবনাথ বাবুর অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৬ তম বর্ষ ১৩০ সংখ্যা নিমাই চাঁদ দেবনাথ বাবুর এক কলমের খোঁচায় চলে গেল সরকারের ১৬.৫৫ একর খাস জমি শীর্ষক খবর প্রকাশিত হওয়ার পর পত্রিকার প্রতিবেদকের কাছে আরো কিছু অনিয়মের খবর আশা শুরু করলে কয়েকদিন যাবত নিমাই চাঁদ বাবুর দপ্তরে গিয়ে খোঁজ খবর নিতে চাইলেও তিনি কোন রকম সৎ উত্তর না দেওয়ায় তথ্য অধিকার আইনে তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত বিধিমালা অনুযায়ী তথ্য প্রাপ্তির আবেদনপত্র ফরম ‘ক’ এ গত কয়েকদিন আগে আবেদন করলে নিমাই চাঁদ বাবু তাহা নিজে গ্রহণ না করে তার পেশকার বাহারকে দিয়ে তাহা গ্রহণ করে কাঙ্খিত তথ্য না দিয়ে বিভিন্ন রকম তালবাহানা শুরু করছেন। ইতিমধ্যে পেশকার বাহারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন স্যার একজন মানুষ ৮/৯টি উপজেলা কর্মরত অবস্থায় আছেন এতে তথ্য দিতে দেরি হচ্ছে। স্যার আসলে আপনাকে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করবো। উল্লেখ্য সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার নিমাই চাঁদ দেবনাথ বাবু এককভাবে নোয়াখালীতে প্রায় সব উপজেলারই কাজ করছেন। অন্যান্য অফিসাররা থাকলেও কাজ পাচ্ছেন না। সুতরাং সঠিক নিয়মে অফিস চলাকালীন সময়ে নোয়াখালী সদর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসে কাউকে পাওয়া যায় না। কখনো কখনো কেউ কেউ ১২/১টার পরেও অফিসে আসেন। এই বিষয়ে অফিসে সার্বক্ষনিক থাকা আদিলকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন বর্তমান কাজ নেই বিধায় এই অবস্থা। বর্তমানে সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার নিমাই চাঁদ বাবুকে আরো ৩টি মৌজার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
সচেতন ভুক্তভোগীদের দাবী নোয়াখালী জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসে দায়িত্বরত অনেক অফিসার থাকার পরেও নিমাই চাঁদ দেবনাথ বাবুকে কেন বারবার একই অফিসে দায়িত্ব না দিয়ে জেলার আরো ৬/৭টি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাহা বোধগম্য নহে। তাই অচিরেই ভুক্তভোগীদের সুবিধার্থে একটি উপজেলার দায়িত্ব দিলে সঠিক সময় অফিসে আসা ও সঠিকভাবে কর্মসম্পাদন করতে সুবিধা হবে।