ডিসেন্ট্রালাইজড বা বিকেন্দ্রিত বাংলাদেশ গড়ার দাবি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীকতার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনবাজার সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে একদল শিক্ষার্থী। এতে রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ঢাকা না রাজশাহী, রাজশাহী-রাজশাহী’; ‘ঢাবি না রাবি, রাবি- রাবি’, ‘ঢাকা না রংপুর, রংপুর-রংপুর’; ‘ঢাকা না কুমিল্লা, কুমিল্লা-কুমিল্লা’, ঢাকা কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, সিন্ডিকেট না মুক্তি, মুক্তি মুক্তি’, ‘আবুসাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা জানায়, ৫ আগস্টের পর প্রত্যেকের আকাঙ্ক্ষা ছিল সবাই একসঙ্গে রাষ্ট্র পুনর্গঠন করব। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকাকেন্দ্রিক নির্দিষ্ট একটি সিন্ডিকেটের কাছে রাষ্ট্র বন্দি হয়ে গেছে। জুলাই আন্দোলনে অন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অস্বীকার করে এককভাবে ক্ষমতার কেন্দ্র করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। অভ্যুত্থানের প্রত্যেকটা অংশীদারকে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের সুযোগ দেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের।
রাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে দেশের প্রত্যেকটা প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয়, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের একটা দূর্গ গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বিপ্লবের পরবর্তীতে সেই একক আধিপত্যবাদের ব্যাপারটা আবার চলে এসেছে। ইউজিসি-পিএসসিতে সদস্য, সংস্কার কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, এমনকি উপদেষ্টামন্ডলী সবকিছু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আন্দোলনে দেশের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান থেকে রক্ত ঝরেছে, তাহলে সুবিধা কেন একটি প্রতিষ্ঠান পাবে? আমরা চাই দেশের প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানসহ প্রান্তিক পর্যায়ে এই সুবিধা ভোগের সুযোগ পাবে।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একই দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।