টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গত ৩১ জানুয়ারি প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই করার ঘটনায় পাঁচ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬মে) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টাঙ্গাইল সদর আমলি আদালত) আদালতে প্রসূতির বাবা এস,এম, মাহবুব হোসাইন এই মামলা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাকি মিয়া জানান, আদালত মামলা গ্রহণ করে পুলিশের তদন্ত ব্যুরোকে (পিবিআই) তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।
বাদী এস,এম, মাহবুব হোসাইন জানান, গত ৩১ জানুয়ারি তার মেয়েকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি ছেলেসন্তান হয়। এরপর তার মেয়ের পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসকেরা। এরা হলেন হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিসফুন নাহার, ডা. অপু সাহা, ডা. আবেদা সুলতানা, ডা. ফজলুল হক ও ডা. জাকির।
এদিকে গজ পেটে রয়ে যাওয়ায় পর দিন থেকেই তার মেয়ের পেটে ব্যথা শুরু হয়। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা সন্দেহে এই হাসপাতালেই টানা ২২ দিন চিকিৎসা চলে। অবস্থার অবনতি হলে মেয়েকে ঢাকায় নেয়া হয়। গত ১ মার্চ ঢাকার হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিটি স্ক্যানে পেটের ভেতরে অস্বাভাবিক কিছু ধরা পড়ে। ৩ মার্চ অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে প্রায় এক ফুট লম্বা গজ বের করেন চিকিৎসকেরা।
তিনি জানান, চিকিৎসকদের এই অবহেলার জন্য তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তিনি ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং সব আসামির বিচার চান।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালের পক্ষ থেকে তদন্তে করা হচ্ছে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তবে ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ও অনাকাঙ্খিত। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করব।