ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
সেবাই ধর্ম সেবাই কর্ম, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে একজন মানুষ অসহায় হয়ে সেবা নিতে ডাক্তারের কাছে আসে। ডাক্তার দেখার পর রোগীকে টেস্ট দিয়ে থাকে, কিন্তু সেই টেস্টের যিনি প্যাথলজিস্ট তিনি যদি হয় অনভিজ্ঞ, যদি না হয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তাহলে ভুলে ভরা টেস্ট নিয়ে ক্লিনিকে অযোগ্য ব্যক্তি কে দিয়ে ভুল টেস্ট করা হলে তিনি যদি সঠিক সনদ প্রাপ্তি ব্যক্তি না হয়ে থাকে তাহলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে কিভাবে নিয়োগ দিল। ম্যানেজার এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারাও কি ভুলে ভালে টেস্ট দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে ক্লিনিক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন? দিনে দিনে কোটিপতি, যা দেখা এবং বলার কেউ নেই। এরকম একটি ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক সকালবেলা এর জেলা প্রতিনিধি ও ক্যামেরাম্যান সহ প্রত্যক্ষ খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায় ঝিনাইদহ ক্রিসেন্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এরকম একটি হজবরল টেকনোলজিস্ট দিয়ে প্যাথলজিস্ট বিভাগের সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা তিনি দীর্ঘদিন নিম্নমানের সেল এবং নিম্নমানের মেশিনপত্র দিয়ে হরহামেশা কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা যখন তার কাছে জানতে চাই আপনি কোন জায়গা থেকে পাস করছেন প্যাথলজিস্ট এর উপরে তিনি অনলাইনে তার কোন সার্টিফিকেট এবং কাগজপত্র আমাদের দেখাতে পারেননি এবং আমরা কিছু টেস্ট সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করি, তিনি বলেন ডাক্তার লিখে দেয় আমি করি, কিন্তু কোনটার কি কাজ তা আমি বলতে পারি না। এখানকার দীর্ঘদিনের ম্যানেজার হিসেবে মোঃ ফিরোজ উদ্দিন এর কাছে আমরা তার কাছে প্যাথলজিস্ট এর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনিও তা ভালোভাবে বলতে পারেন না। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ম্যানেজার ফিরোজ একজন জামাতের কর্মী এবং এই ক্লিনিকের যে মালিক ডাঃ এ কে এম কামাল, যিনি হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত রোগী দেখে আসছেন, তার স্ত্রী ওই ক্লিনকে আলট্রাসনোগ্রাফি করে, এবং তার মা ঝিনাইদহ জেলার জামাতের রোকন । তিনি ক্লিনিক ব্যবসা করে ঝিনাইদহে হাটের রাস্তার সাথেই গড়ে তুলেছেন ক্রিসেন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে এক বিলাস বহুল বহুতলা ভবন, দুটি ফ্লোরে এই ক্লিনিক এর কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং মাঝে মাঝে ওই ক্লিনিকে জামাতের জেলার বিভিন্ন সরকারের নাশকতা বিরোধী কার্যকলাপের মিটিং করে থাকেন যার নেতৃত্ব দেন ক্লিনিকের ম্যানেজার মোঃ ফিরোজ। সেবায় ধর্ম সেবায় কর্ম, যদি হয় এই স্লোগান তাহলে ঝিনাইদহ ক্রিসেন্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, একটি জামাত শিবিরের প্রতিষ্ঠান হিসেবে এবং সেবার নামে সাধারণ মানুষকে হতে হচ্ছে নানা রকম ভোগান্তির শিকার। এখানে আবার বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাতুড়িয়া ডাক্তারদের মাধ্যমে রোগী এনে দিলে ভুলভাল টেস্ট করিয়ে তাদেরকে দেন কমিশন, যা পরিচালনা করেন ম্যানেজার ফিরোজ। ডাঃ কামাল একজন ঝিনাইদহে স্বনামধন্য হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে ভালো পরিচিত। কিন্তু তার ম্যানেজার এবং টেকনোলজি যদি হয় এরকম অদক্ষ অসাধু, তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই ক্রিসেন্ট এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ম্যানেজার’র মত ফিরোজ যিনি জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী এবং অদক্ষ টেকনোলজিস্টের অপসারণ সহ তাদের বিরুদ্ধে মানুষকে প্রতারণা এবং ভুল টেস্ট করানো এবং ক্লিনিকে ডাক্তার বসিয়ে সাধারণ মানুষকে অতিরিক্ত টেস্ট দিয়ে তাদের পকেট কেটে আর কত এভাবে চলবে ঝিনাইদহের ক্রিসেন্টের মত ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাধারণ মানুষ যেখানে সেবা নিতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হচ্ছে প্রতারিত আর ক্লিনিকের মালিক এবং ম্যানেজাররা হচ্ছে আঙুল ফুলে কলা গাছ। এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের একটাই দাবি। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন, এবং জেলা প্রশাসক মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ঝিনাইদহের প্রতিটি ক্লিনিকে সঠিক প্যাথলজিস্ট নিয়োগের মাধ্যমে ভালো মানের যথোপযুক্ত টেস্ট যাতে হয় এবং কোন মানুষ যাতে সেবা নিতে গিয়ে ক্লিনিকের কাছে জিম্মি হতে না হয়। জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ম্যানেজার ক্রিসেন্ট এন্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার এর মোঃ ফিরোজ যিনি রোগীদের সাথে প্রতারণা করে ভুলে ভরা টেকনোলজিস্ট দিয়ে অতিরিক্ত টেস্ট করিয়ে আর যদি কোন মানুষের ভোগান্তি শিকার না হতে হয়। এজন্য তার দৃষ্টান্তমূলক তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাধারণ জনগণ জোর দাবি জানিয়েছেন। নাম না বলা অনেকের সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে, তারা বলেন এই ক্রিসেন্টের ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ম্যানেজার মোহাম্মদ ফিরোজ ডাক্তারদের ভিজিট করা সেম্পল ওষুধের দোকানে বিক্রি করে এবং তিনি একজন জামাতের সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিভিন্ন গোপনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে কেউ অন্যায় করে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি করে, জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী ক্রিসেন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ম্যানেজার মোঃ ফিরোজকে বাদ দিলে এই ক্লিনিকটি সুন্দর ভাবে চলবে বলে মনে করেন এবং সেবার মানও বাড়বে বলে সকলেই প্রত্যাশা করেন।