ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ সদরের পানামী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পূর্বে একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হলেও বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা কোনরকম দায়সারামত। এখানে শিক্ষকরা মেয়েদের সঠিকভাবে পাঠদান করান না। শিক্ষকদের গুণগত মান নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন,। এই বালিকা বিদ্যালয়টি পূর্বে অনেক সুনাম ছিল কিন্তু দিন দিন শিক্ষকদের অব্যবস্থাপনার কারণে মেয়েদের লেখাপড়ার প্রতি উদাসীনতা, নীতি নৈতিকতার অভাব এবং শিক্ষার মান অনেকাংশেই অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় খুবই নগণ্য। সাংবাদিকদের সাথে প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু বক্কর এর কথা হলে তিনি বিভিন্ন বিষয় এড়িয়ে যান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সেখানে মেয়েদের তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা এই স্কুলে নেই বললেই চলে। সেখানে অনলাইন সম্পর্কে স্যারদের মধ্যে রয়েছে অজ্ঞতার অন্ধকার। এখানে শিক্ষক আছেন ১০ জন। কিন্তু মোট শিক্ষার্থী আছে মাত্র ১৬৯ জন। কর্মচারী আছে ৬ জন। অনেক অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, এই পানামী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এখন আর আগের মতো পড়াশোনা হয় না, স্যাররা ঠিক মত ক্লাস নেন না এবং সময়মতো স্কুলেও আসেন না। ছাত্রী ভর্তি সংখ্য ২০২৪ সালে নতুন বছরে খুবই নগণ্য। কারণ অভিভাবকদের অভিমত এই যে, স্কুলে মেয়েদের ঠিকমতো ক্লাস নেন না স্যাররা, উদাসীন মনোভাব নিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থাকে কলুষিত করছে এই শিক্ষকরা, যার কারণে আমাদের মেয়েদেরকে এখন এই বিদ্যালয়ে পড়তে দিতে চাইনা। স্কুলে নেই কোন গণিতের শিক্ষক, নেই কোন খেলার মাঠ, বিদ্যালয়টির পরিবেশ দেখলে মনে হয় এটা কোন বিদ্যালয় নয়, পানামি মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হলেও কেন এত এর অধঃপতন এটা সুশীল সচেতন সমাজ জানতে চায়। শিক্ষকদের মধ্যে বাংলার শিক্ষক মনজুর আহমেদ ঠিকমত ক্লাস নেন না। তিনি অধিকাংশ সময় তার নিজস্ব হোমিওপ্যাথিক চেম্বারে ডাক্তারি করেন। তাহলে এই মেয়েদের কি শিখাবেন। নেই কোন ধর্মীয় শিক্ষক, গরিব এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের নেই কোন ভালো গাইডলাইন। শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবেশ যদি হ-জ- ব-র-ল হয় তাহলে জাতি উন্নত হবে কিভাবে। তাই মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে এই পানামী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের যে সুন্দর পরিবেশ পূর্বে একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত ছিল সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সমস্ত শিক্ষকদের ঠিকমতো ক্লাসে পাঠদান সহ শিক্ষাঙ্গনের সঠিক পরিবেশ এবং এই বিদ্যালয়ের মেয়েদের অধিকাংশের বাল্যবিবাহ যাতে না হয়, সে সম্পর্কে সচেতন মহল সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের আধুনিকয়ানের জন্য সঠিক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য মেয়েদের ভালোভাবে লেখাপড়া হয় সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।