ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৬নং গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম ঝিনাইদহ গ্রামে অপরিকল্পিতভাবে গভীর পুকুর খনন করায় উক্ত গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোঃ রশিদ মিয়ার (৩৭) বাড়ি ঘর হুমকির মুখে পড়েছে, যে কোন দিন বাড়ি ঘর পুকুরের মধ্যে ভেঙে পড়তে পারে। আব্দুর রশিদ মিয়া পুকুরের মালিকদের মৌখিক ভাবে পুকুর ভরাট করার কথা বললেও তারা ব্যবস্থা নেন না উল্টো হাতে দা, লাঠি, লোহার রড ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র সহকারে খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন।উপায়ান্তর না পেয়ে মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া বাদী হয়ে মোঃ হাসেম (৫৭), মোঃ সামছুল হক (৬৮), মোঃ ফজলু (৬৫), মোঃ কাশেম (৬২), মোঃ মজিবর (৫৪), সর্ব পিতা- মৃত কাদের মুন্সী, মোঃ মতিউর রহমান (৩২), মোঃ মহিবুল ইসলাম (৩০) উভয় পিতা- হাসেম, মোঃ জহুরুল ইসলাম (৪৫), পিতা মোঃ সামছুল হক,মোঃ ফারুক (২৮),পিতা,মোঃ কাসেম, মোঃ শাহাদাত (২৩), পিতা,মজিবর, মোছাঃ হাসিয়া(৪৮),স্বামী -হাসেম,মোছাঃ লাইলী বেগম(৫৮),স্বামী ফজলু,মোছাঃ মর্জিনা বেগম (৫৫),স্বামী -কাশেম, সর্ব সাং পশ্চিম ঝিনাইদহ, থানা ও জেলা ঝিনাইদহ, মোট ১৩(তের) জনকে আসামি করে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঝিনাইদহ বরাবর ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭ /১১৭ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করেন।এদিকে মোঃ মতিয়ার রহমান, পিতা- মোঃ আবু হাসেম, মাতা,মোছাঃ হাসিয়া বেগম সাং পশ্চিম ঝিনাইদহ, থানা ও জেলা ঝিনাইদহ, বাদী হয়ে মোঃ আঃ রশিদ (৩৮),পিতা- আঃ রাজ্জাক মিয়া,সাং পশ্চিম ঝিনাইদহ, থানা ও জেলা ঝিনাইদহকে বিবাদী করে ঝিনাইদহ সদর থানায় গত ৩-১০-২০২৩ ইং তারিখে একটি জিডি করেছেন। যার নাম্বার ১৭৭।জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন তার বাড়ির পাশে ২৩ শতাংশ জমির উপর পুকুর আছে যা তার পিতা ও চাচারা ভোগ দখল করে, বিবাদী ২/৩ বছর যাবৎ পুকুরটি ক্রয় করার প্রস্তাব দেয়।প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পুকুরে বিষ দেওয়া, পুকুরের পাশের আবাদি জমির ফসল নষ্ট করার চেষ্টা, বড় ধরনের ক্ষতি,অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং তাদের পরিবারের লোকজনকে মারধর ও খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন। আদালতে মামলা করায় বাদী মোঃ রশিদ মিয়া, পিতা- আব্দুর রাজ্জাক, যে কোন সময় হামলার শিকার হতে পারে মর্মে গত ৪-১০-২০২৩ ইং তারিখে বিবাদী হাসেম (৫৭), পিতা মৃত কাদের মুন্সি, মতিয়ার (৩৩), মহিবুল (২৯), উভয় পিতা – হাসেম, হাসিয়া বেগম (৫০), স্বামী হাসেম সর্বসাং পশ্চিম ঝিনাইদহ, থানা ও জেলা ঝিনাইদহ গনদের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় পূণরায় একটি জিডি করেছেন যার নাম্বার -২৬৮।তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন, বিবাদীরা আমাদের বসত বাড়ির সীমানায় গর্ত খুড়ে ভাটায় মাটি বিক্রি করে, পুকুরটি অত্যাধিক গভীর হওয়ায় যে কোন সময় আমার বসত বাড়ি ভেঙে যেতে পারে, আমি গর্তটি ভরাট করার কথা বললে, ভরাট না করে উল্টো খুন জখমের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এবং আদালত থেকে মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করছে, মামলা না তুলে নিলে আমার ও আমাদের পরিবারের লোকজনদেরকে খুন জখম করবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। বিবাদীরা যে কোন সময় যে কোন বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি করতে পারে বলে আমি আশংকা করছি।বিবাদী পক্ষের ফজলুর রহমান ও মর্জিনা বেগম বলেন, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়া ও পাড় বেঁধে দেওয়ার ব্যবস্থা নিবো।বাদী পক্ষের সাক্ষী শহিদুল ইসলাম খোকন বলেন আমাদের সমস্যার কথা বহুবার বলেছি তারা গুরুত্ব দেন না। তাদের অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খননের কারনে আমাদের বাড়ি ও আবাদি জমি পুকুরে বিলীন হতে বসেছে।উল্লেখ্য পরিবেশ আইনে উল্লেখ আছে পুকুরের উভয় পাশে নিজ জমির কমপক্ষে অভ্যন্তরে ১০ফুট দুরুত্বে ৪৫ ডিগ্রি ঢাল খাড়া রাখতে হবে এবং জলাাশয় খনন করতে হবে ।এব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন উদ্দীন বলেন আমি আজ এই মাত্র যোগদান করলাম, বিষয়টি সম্পর্কে পরে জানাতে পারবো।তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই খোরশেদ আলী জানান, দুইটা জিডিই কোর্টে পাঠিয়েছি, বিজ্ঞ আদালত অনুমতি দিলেই ঘটনাস্থলে যাবো ইনশাআল্লাহ।