ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে এ আর এন্টারপ্রাইজের সাড়ে তিন কোটি টাকা লুটপাট করেছেন একাউন্টেন্ট বিল্লাল হোসেন। ঝিনাইদহে এ আর এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটার মোঃ আবিদুর রহমান লালু সাংবাদিকদের বলেন, আমি বিল্লাল হোসেন, বয়স( ৩০),পিতা- মোঃ শরিফুল ইসলাম। গ্রাম শিকারপুর, ইউনিয়ন কালিচরণপুর, সদর থানা ঝিনাইদহ কে আমার এ আর এন্টারপ্রাইজের প্রথমে একাউন্টেন্ট এবং পরে কম্পিউটার একাউন্টেন্ট হিসাবে চাকরি দেই। অত্র প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর চাকরি করে আসছেন। তার মাসিক বেতন দেয়া হচ্ছিল ৭০০০/= টাকা, এভাবেই তিনি প্রতিষ্ঠানের চাকরি করে আসছিল নিয়ম কানুন মাফিক, এ আর এন্টারপ্রাইজ আমার পার্টনারের বিজনেস। এই বিজনেসে মোঃ বিল্লাল হোসেন দায়িত্ব থাকাকালীন, বিভিন্ন ভাবে অত্র প্রতিষ্ঠানের টাকা দিয়ে ক্যাসিনোর মতো জুয়া খেলে সাড়ে তিন কোটি টাকার মতো তসরুপ করেছে। আবিদুর রহমান লালু বলেন, আমি কিডনি জনিত অসুস্থতার কারণে ঢাকায় অবস্থান করার কারণে ব্যবসার ঠিকমতো খোঁজ খবর রাখতে পারেনি, এই সুযোগে সুচতুর বিল্লাল এই সাড়ে তিন কোটি টাকা কেসিনোর মতো জুয়া খেলে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছে এবং ব্যয় করেছে এবং সেই টাকা দিয়ে বাড়ির অন্যান্য কাজ এবং ল্যান্ড প্রপার্টিতে পুঁজিতে বিনিয়োগ করেছেন। আমি যখন সুস্থ হয়ে ঢাকা থেকে ফিরে এসে এ আর এন্টারপ্রাইজের হিসাব কানুন দেখি, এবং অভ্যন্তরীণ অডিট পরিচালনা করার দায়িত্ব প্রদান করি, তখনই সুচতুর বিল্লাল হোসেন উক্ত প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়ে চম্পট দেয়। অডিট টিমের সবুর হোসেন, আছাদ হোসেন তারা সব হিসাব কানুন দেখে দীর্ঘ নিরীক্ষা পর্যালোচনা করে দেখে যে এই বিল্লাল এ আর এন্টারপ্রাইজ’র সাড়ে তিন কোটি টাকা লোপাট করেছে। এই তথ্য আমি জানার পর, তার বাবা মাকে জানাই এবং গ্রামবাসী মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ, মোঃ এরশাদ, মোশারেফ হোসেন, লতা, ও আব্দুল মজিদ তাদেরকে জানালে এবং তার বাবার কাছে বললে ছেলেকে হাজির করার জন্য এবং আমার সাড়ে তিন কোটি ব্যবসার টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বললে তিনি অসুস্থতার ভান করে এবং তাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রচার করে। আমি জানার পর আমার এ আর এন্টারপ্রাইজের সাড়ে তিন কোটি টাকা লুটপাট করেছেন একাউন্টেন্ট বিলাল হোসেন তাকে কেউ বা কারা কিছু বলেছি কিনা আমি জানিনা, আমার নামে এবং আমার ম্যানেজার মুরাদের নামে নির্যাতনের কথা বলে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। তিনি অসুস্থতার ভান করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়, এবং তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে যে মিথ্যা সংবাদটি প্রচারিত হয় তা আমি জানার পরেও বিষয়টি সকলকে অবগত করি, এবং আমি ও আমার ম্যানেজার এবং আমার প্রতিষ্ঠানের কোন ব্যক্তি দ্বারা তিনি কোন শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হননি। কিন্তু তিনি মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে আমি ও আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম বিনষ্ট করার স্বার্থে মরিয়া হয়ে লেগেছে। এ বিষয়ে আমি ঝিনাইদহ জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনে তার কেসিনো খেলার একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছি এবং পরবর্তীতে আমার ব্যবসায়িক টাকা উদ্ধারের জন্য আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমার কাছে তার সমস্ত টাকার হিসাব কানুন এর ডিড ডকুমেন্টস আছে, তা দিয়ে আমি আইনি লড়াই চালিয়ে যাব, কারন আমার রক্তে ঘামানো টাকা এবং ব্যবসায়ী পার্টনারের টাকা এটা ছয় নয় হতে দেব না। আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে সকালের নিকট আমার বিনীত অনুরোধ রইলো আপনারা মিথ্যা গুজবে কান দেবেন না, সঠিক জেনে বুঝে আমি যে পাওনা টাকা পাই, সেই টাকা এই সুচতুর কেসিনো জুয়াড়ি বিল্লাল ফেরত দেবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।