ঝিনাইদহে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ

ঝিনাইদহ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্তৃক আয়োজিত ০৪/০১১/২০২৩ ইং খ্রিস্টাব্দে দুপুর ০২ ঘটিকায়  ঝিনাইদহ  পায়রা চত্বরে এক প্রতিবাদ  ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌরসভার সুযোগ্য মেয়র সাবেক ছাত্রনেতা লড়াই সংগ্রামের অকুতোভয়  ভাই সৈনিক, রাজপথ থেকে  গড়ে ওঠা নেতৃত্ব ঝিনাইদহ  মাটি ও মানুষের নেতা জননেতা  আলহাজ্ব  সাইদুল  করিম  মিন্টু। আরো উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহ আওয়ামী  স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সভাপতি রাজপথের লড়াকু সৈনিক, শাহরিয়ার  করিম রাসেল, উক্ত অনুষ্ঠানিট সঞ্চালনা করেন, ঝিনাইদহ আওয়ামী   স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি, রানা  হামিদ। আরো উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ,  আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ যুবলীগ কৃষক লীগ,শ্রমিক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, ছাড়াও জেলা,ও  উপজেলা বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। সবাই আগামী জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচনে  জননেতা  সাইদুল করি মিন্টু কে ঝিনাইদহ- ২ আসন থেকে মনোনয়ন দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন বলে নেতারা প্রত্যাশা করেন। নেতারা বলেন, সুখে দুখে  বিপদে আপদে সবসময় মিন্টু ভাইকে আমরা পাশে পাই, তিনি আমাদের নেতা কর্মীদের খোঁজখবর রাখেন, তিনি মাননীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে আমাদের অনেক আশা পূরণ হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। ঝিনাইদহের মাটি মিন্টু ভাইয়ের ঘাঁটি। তিনি নৌকা মার্কার প্রার্থী হলে বিপুল ভোটে জয় যুক্ত হবেন বলে নেতারা প্রত্যাশা করেন। সকলের  শুভেচ্ছা বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি বক্তব্য শুরু করেন। প্রধান অতিথি বক্তব্যের শুরুতেই শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলার রাখাল রাজা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, আরো শ্রদ্ধা ভরে  স্মরণ করেন ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে যারা লাল সবুজের পতাকা ছিনিয়ে এনেছেন  সে সকল সূর্যসন্তানকে, যারা এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে পরিচিত, তিনি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ  করেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহীদদের, তিনি শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সেই কাল রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম  হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাদেরকে শহীদ করেছিল সে সকল  শহীদদের প্রতি, যাদের  আত্মত্যাগ ও জীবন বিসর্জনের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি লাল সবুজের পতাকা ও ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী, আজকে সফল  প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ একটি উন্নয়ন রাষ্ট্র হিসেবে  বিশ্বের দরবারে সুপরিচিতি লাভ করেছে।তিনি যে  ২০৪১ সালে স্মার্ট  বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তারই সুদূর প্রসারী  পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের যত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা একমাত্র বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে হয়েছে। সামনে জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচন, এই নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামাতের ওই খুনি তারেক রহমানের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী, বিএনপি জামাত দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির যে অরাজকতা তৈরি করছে তা এ জাতি ধিক্কার এবং প্রতিবাদ জানায়। প্রধান অতিথি সাংবাদিকদের বলেন  খুনি বিএনপি-জামাত কর্তৃক,প্রধান বিচারপতির বাসভবনে  আক্রমণ, রাজার বাগ পুলিশ হাসপাতালের অগ্নিসংযোগ, সাংবাদিকদের উপর নগ্ন হামলা, পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা, এই হত্যার রাজনীতি এদেশে বন্ধ করতে হবে, খুনি সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের এদেশে ঠাঁই নেই, যারা গরীবের টাকা মেরে খায় এবং বিদেশে পাচার করে মানি লন্ডারিংয়ে মামলা খায়, এ জাতি তাদের ধিক্কার এবং ঘৃনা ভরে দেখে। বাংলাদেশ  আজ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ছোয়ায় বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল উন্নয়নে অগ্রনী  ভূমিকার দাবিদার একমাত্র জাতির কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা, যার অকল্পনীয়   নেতৃত্ব নিষ্ঠা  সততা এবং  এবং ভালোবাসার মাধ্যমে রাতদিন পরিশ্রম করে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, যে স্বপ্ন দেখে গিয়েছিলেন বাংলার রাখাল রাজা, স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সেই স্বপ্নের একমাত্র অভিকল্প সারথি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন কাজ করে চলছেন, অনেক ঘাত প্রতিঘাত  এর  মাধ্যমে মৃত্যুকে যিনি অকুতোভয়  হয় মনে করেন দেশে ও দেশের  মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আজ বাংলাদেশে যত বড় বড় মেগা  প্রকল্প কাজ সম্পাদিত  হয়েছে তা একমাত্র জনো নেত্রী  শেখ হাসিনার  মাধ্যমে  হয়েছে। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের  দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী  জাতীয় দ্বাদশ  নির্বাচনে শেখ হাসিনার   সরকারি সাধারণ জনগণের ভোটে ক্ষমতা আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি, এবং সেই লক্ষ্য ও প্রত্যয়  নিয়ে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি, শেখ হাসিনা আছে বলেই আশার প্রদীপ নিভে যায়নি  আজ নিষ্ফলে, শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আমরা এ দেশকে সুন্দর হবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যোগ্য পিতার  যোগ্য কন্যা হাতকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার, যতকাল রবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, ততকাল এ জাতি স্মরণ রাখিবে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা আজকের সফল  প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা সরকারকে আবারো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়  নিয়ে আসতে পারলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বিরাজমান থাকবে বলে নেতারা অভিমত ব্যক্ত করেন। সর্বশেষে সভাপতি  সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং আবারো দ্বাদশ  জাতীয়  সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে সবার কাছে নেত্রীর জন্য দোয়া চেয়ে এবং সবার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।