ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
এমনই অভিযোগ নিয়ে ঐ এলাকার একাধিক কৃষক জানান, উপজেলার কালিচরনপুর ইউনিয়নের ভগবাননগর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে নয়ন, আফজাল হোসেনের ছেলে ফিরোজ, ইশরাত আলীর ছেলে জাহিদ এবং হাসেম আলী নামে কয়েকজন সিন্ডিকেট করে এই বালি উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন রাতের আঁধারে। এতে বালি বহনকারী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে যেমনটি ক্ষতি হচ্ছে জমির ফসল, তেমনি ট্রাকের শব্দে সারাদিন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও বিশ্রামের জন্য রাতে ঘুমাতে পারছেননা স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও রাতে ট্রাকের শব্দে ঐ এলাকার অসুস্থ্যজন এবং শিশুদের নিয়ে পোহাতে হচ্ছে কঠিন বিপাকে। তাছাড়া কৃষি জমির পাশ থেকে গভীর করে বালি উত্তোলন করায় পানির লেয়ার নিচে নেমে গেলে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ফসল উৎপাদনে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
যেকারণে বালি উত্তোলনে মৌখিক নিষেধ না মানায় মহামান্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন, হাসান সরদার নামে এক কৃষক। তিনি জানান, ঐ স্থানে অন্তত নয় দশ বিঘা জমির আওতায় তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়ে একটি বরিং বসিয়েছেন। কৃষি কাজ করেই তার পরিবারের সমস্ত ব্যয় বহন করতে হয়। অথচ বেশ কয়েকদিন ধরে পাশের একটি পতিত জমি থেকে অভিযুক্তরা গভীর করে বালি উত্তোলন করে চলেছে। এছাড়াও সদ্য ধান লাগানো একটি আবাদি জমি থেকে বালি উত্তোলন করবে বলে তাদের লাগানো ধানের ক্ষতিপূরণ দেবে বলে জানা গেছে।
হাসান সরদার ভগবাননগর গ্রামের মৃত আফসার উদ্দিন সরদারের ছেলে। তিনি আরো জানান, মৌখিক নিষেধ করতে গিয়ে জান মালের হুমকিতে পড়েছি। এমনকি প্রতি নিয়ত তারা মারপিট করার জন্য সুজোগ খুঁজছে। এরা সবাই চেয়ারম্যানের কাছের লোক হওয়ায় প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এদের কাছে নমনীয় ভুমিকা পালন করছে। যেকারণে আমরা ঝিনাইদহ বিজ্ঞ আদালতের স্মরনাপন্ন হয়েছি। আশা করছি আদালতের মাধ্যমে সঠিক বিচার পাবো।
বিষয়টি জানতে কালিচরনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে ফোন করলে তিনি জানান, আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে অভিযুক্তদের খোঁজ নিয়ে পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।