ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ডাঃ শামীমা সুলতানা ঝিনাইদহের একজন আলোকিত নারী চিকিৎসক। দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের কাছে তিনি খুবই পরিচিত মুখ। গরীবের চিকিৎসক খ্যাত এই নারী চিকিৎসক সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়েছেন। সিনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনী এন্ড অবস ডাঃ শামীমা সুলতানা চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিল তাকে সংবর্ধনা প্রদান করেন। ঢাকার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তন আইডিবি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডিয়া বাংলাদেশ কালচারাল কাউন্সিলের নির্বাহী সভাপতি (ইন্ডিয়া) শুভদীপ চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক (বাংলাদেশ) শাহ আলম চুন্নু। তথ্য নিয়ে জানা যায়, সিনিয়র কনসালট্যান্ট গাইনী এন্ড অবস ডাঃ শামীমা সুলতানা রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করে ১৯৮৩ সালে চাকরী জীবন শুরু করেন। শুরু থেকে তিনি নিজেকে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করেন। ডাঃ শামীমা সুনামের সাথে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, গোপালগঞ্জ ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। তার স্বামী ডাঃ সিদ্দিকুল ইসলামও একজন খ্যতিমান চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৭ সালে জেলার এই নারী চিকিৎসক অবসর গ্রহন করেন। বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্দ্র অগ্নিবীনা সড়কে অবস্থিত শামীমা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে তিনি চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ইউনিসেফ থেকে (ইওসি) ও ঝিনাইদহ পৌরসভা থেকে রত্নগর্ভা মা পদকে ভূষিত হন। তার এই সাফল্যে ঝিনাইদহবাসী গর্বিত। তার এ অর্জনে জেলায় কমর্রত চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।এবং চতুর্থবারের মতো তিনি কবি সুকান্ত স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা ও মানব কল্যাণে বিশেষ অবদান রাখায় এওয়ার্ড অর্জন করেছেন। তার সাথে সাংবাদিকদের কথা হলে তিনি বলেন, আমার দীর্ঘ কর্মময় জীবনে সাফল্যের সাথে কাজ করেছি, আমি আমার পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সহিত মানুষের কল্যাণে গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে সারাটা জীবন কাজ করে যেতে চাই। সেবাই ধর্ম সেবাই কর্ম। একজন মানুষ অসহায় হয়ে ডাক্তারের কাছে আসে, আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা শ্রম ভালোবাসা দিয়ে সেই গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এবং আমার সাধ্যমত সেবা দেয়ার চেষ্টা করি।আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমি আমার চেষ্টা শ্রম ভালোবাসা মাধ্যমে ঝিনাইদহ বাসীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি, আমি এ মাটির সন্তান, একজন প্রত্যক্ষ রোগীর কাছে আমরা জানতে চাই ডাঃ শামীমা কেমন এবং এই ক্লিনিকে সেবার মান কতটুকু ভালো। তিনি বলেন আমার নাম নার্গিস খাতুন আমার স্বামীর নাম মোঃ রাকিব হোসেন গ্রাম যোগীপাড়া, ইউনিয়ন মির্জাপুর, থানা শৈলকূপ, জেলা ঝিনাইদহ।আমি ৩২ সপ্তার প্রেগনেন্সি নিয়ে এই হসপিটালে ভর্তি হয় এর আগে অন্য জায়গায় দেখেছি তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি, এবং জটিল সমস্যার কথা বলেছেন, কিন্তু এখানে এসে ডাঃ শামীমা সুলতানাসহ আরো তিনজন ডাক্তার আমাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিজার করান সফলতার সহিত, এবং আমার নয় ব্যাগ রক্ত লেগেছে এই সিজার করতে এবং এটি একটি ব্যয় বহুল চিকিৎসা, আমার স্বামী একজন কৃষক, দিনমজুর, কিন্তু এই হসপিটালের ডাঃ শামীমা সুলতানা তিনি আমার পাশে যে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তা আমি সারাজীবন মনে রাখবো, এবং ডাঃ শামীমা সুলতানা জন্য দোয়া করি আল্লাহতায়ালা যেন তাকে দীর্ঘ হায়াত দান করে, এবং মানুষের কল্যাণের যেন কাজ করে যেতে পারে আমার মত গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। এবং তার স্বামী মোঃ রাকিব হোসেন বলেন এরকম একজন ডাঃ পেয়ে আমি খুব আনন্দিত। বাচ্চা এবং বাচ্চার মা দু’জনই ভালো আছে। আমি ডাঃ শামীমা সুলতানার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি।