ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য, এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বলরামপুর গ্রামে গিয়ে দেখি সাত মাস বয়সী রিমি খাতুন এখনো কথা বলতে শিখেনি। তীব্র কষ্টের যন্ত্রনা ব্যক্ত করে চোখের নোনা পানিতে। শিশু সন্তানের এমন কষ্ট চোখের সামনে প্রতিনিয়ত দেখেন পিতা জুয়েল হোসেন ও মা রেহেনা খাতুন। কারণ সন্তানের কষ্ট দেখা ছাড়া তাদের যে কোন উপায় নেই। পিতা জুয়েল হোসেন দিনমজুরের কাজ করেন। পরের ক্ষেতে কাজ করতে না গেলে মুখে খাবার জোটে না। ফলে শিশু রিমির হার্টের ছিদ্র অপারেশন করা পিতার পক্ষে সম্ভব নয়। হয়তো এ ভাবে কষ্ট পেতে পেতে একদিন শিশু রিমি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে। জুয়েল ও রেহানা দম্পত্তির বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলরামপুর গ্রামে। দুই কন্যা ও এক ছেলে সন্তানের জনক-জননী তারা।
মা রেহেনা খাতুন জানান, মাস খানেক আগে রিমি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। তাকে যশোর হাসপাতালে দেখানো হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর শিশু রিমির হার্টে ছিদ্র ধরা পড়ে। চিকিৎসক বলেছেন দ্রুত তাকে হার্টের অপারেশন করতে হবে। কিন্তু শিশু রিমির চিকিৎসা করানোর সামর্থ পিতা জুয়েলের নেই। টাকার জন্য বহু জায়গায় ধর্না দিচ্ছেন, কিন্তু কোন সাড়া পাচ্ছেন না। আর টাকা জোগাড় না হলে রিমির হার্টের চিকিৎসাও হবে না। পিতা জুয়েল হোসেন জানান, দিন যতই যাচ্ছে তার শিশু কন্যার অবস্থার অবনতি ঘটছে। অনিয়মিত হার্টবিট বাড়ছে। শ্বাসকষ্ট ও সহজে হাফিয়ে উঠছে। শিশু সন্তানের এই কষ্ট তিনি সহ্য করতে পারছেন না। এ অবস্থায় সমাজের বিত্তবানদের কাছে রিমির পরিবার আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন। সাংবাদিকদের সাথে তার বাবার কথা হলে তিনি বলেন, দানশীল ব্যক্তিদের দানে হয়তো শিশু রিমি নতুন জীবন ফিরে পেতে পারে। সাহায্য ও যোগাযোগ:- পিতা জুয়েল হোসেন মোবাইল নং ০১৭৫১-৬৪৩৫১৬ এবং ০১৮১৮৫৬৪৫৩৯ নগদ নম্বরের মাধ্যমে সকলের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে, হয়তো শিশুটি আবার নতুন জীবন ফিরে পেয়ে একজন ভালো বাচ্চার মত খেলাধুলা করতে পারে। সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। এই ভুবন ছেড়ে আমরা প্রত্যেকেই চলে যাবো একদিন পরপারে। রেখে যাব কিছু ভালোবাসা এবং স্মৃতি যা মানুষ আজীবন মনে রাখবে। স্মৃতির পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে আমাদের সাহায্য এবং সহযোগিতা ও ভালোবাসা।