পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলাম একমাত্র ধর্ম, যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘ইকরা’ তথা পড়ো বাক্যের মাধ্যমে। অর্থাৎ ইসলাম তার সূচনা থেকেই মানুষকে জ্ঞানচর্চায় উৎসাহিত করে আসছে; বরং বলা যায়, ইসলাম জ্ঞানচর্চাকে দ্বিনচর্চার অংশ বলে ঘোষণা করেছে। পবিত্র কোরআনে জ্ঞান ও প্রজ্ঞার চর্চাকে নবী-রাসুলদের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনিই উম্মিদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে, যে তাদের কাছে আবৃত্তি করে তাঁর আয়াতগুলো; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; ইতিপূর্বে তো তারা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।’ (সুরা : জুমা, আয়াত : ২)
জ্ঞানপ্রচারে ইসলামের অনুপ্রেরণা
জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে ইসলাম একাধিক নির্দেশ ও নির্দেশনা দিয়েছে। যার কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
২. জ্ঞান বিতরণ জ্ঞানীর দায়িত্ব : আল্লাহ যাকে জ্ঞান দান করেছেন, তার দায়িত্ব জ্ঞান বিতরণ করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের প্রত্যেক দলের এক অংশ বহির্গত হয় না কেন, যাতে তারা দ্বিন সম্পর্কে জ্ঞানানুশীলন করতে পারে এবং তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে, যখন তারা তাদের কাছে ফিরে আসবে, যাতে তারা সতর্ক হয়।’ (সুরা : তাওবা, হাদিস : ১২২)
রাসুলে আকরাম (সা.) বলেছেন, কাউকে যদি জ্ঞান সম্পর্কিত কিছু জিজ্ঞাসা করা হয় এবং সে জানা সত্ত্বেও তা গোপন রাখে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে আগুনের লাগাম পরাবেন। (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৩৬৫৮)
৫. জ্ঞান আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যম : জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে ব্যক্তি আল্লাহভীরু হয়। হারিস আল মুহাসিবি (রহ.) বলেন, দ্বিনি জ্ঞান মানুষের ভেতর আল্লাহভীতি সৃষ্টি করে, আল্লাহ নির্ভরতা মানুষের অন্তরে প্রশান্তি আনে এবং আল্লাহর পরিচয় তাকে দায়িত্বশীল বানায়। (শুআবুল ঈমান লিল-বাইহাকি, ইলম অধ্যায়)
আল্লাহ সবাইকে জ্ঞানের প্রচার-প্রসারে অংশীদার করুন। আমিন।