অনলাইন ডেস্ক:
সারা দেশে দ্বিতীয়বারের মতো জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে একটানা দুপুর ২টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রতিকেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে সাত জনের ফোর্স।
ভোটের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক প্লাটুন বিজিবি, কোস্টগার্ড ও র্যাবের টিম। তারা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। প্রতি ভোটকেন্দ্রে ও ভোটকক্ষে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
নির্বাচন ভবনে স্থাপিত মনিটরিং সেল থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া আচরণবিধি প্রতিপালন ভোটের এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। আবার সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনায় রয়েছেন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরাও।আগের নির্বাচনের তুলনায় এবার জেলা পরিষদে প্রার্থী ও ভোটার কম, তবে ভোটের মাঠে উত্তাপ বেশি। নির্বাচনে আজ ৫৭ জেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার, টাকার ছড়াছড়ি, সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ভোট কেনাসহ নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ আছে, সেগুলোর দিকে নির্বাচন কমিশনের নজর বেশি দেওয়া উচিত ছিল। অল্পসংখ্যক ভোটারকে পর্যবেক্ষণ করলেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে হলে এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ও বিবেচনায় আনতে হবে।
এর আগে গতকাল ভোটের প্রস্তুতি জানাতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সিসিটিভির প্রচলনটা সাম্প্রতিক। আমরা এটার মাধ্যমে এখান থেকে নির্বাচন মনিটর করতে পারি। এটা একটি ভালো দিক। আমাদের তো কোনো পক্ষ নেই। আমরা চাই ভোটাররা যেন তাঁদের ভোটটা দিতে পারেন। সেই লক্ষ্যেই আমরা সিসিটিভির ব্যবহার করছি। ’
নির্বাচনে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২৭ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৬৯ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১৯ জন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই শুধু এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে দেশের ৬১টি জেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ফেনী ও ভোলায় চেয়ারম্যান ও সদস্য সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। এ ছাড়া আইনি জটিলতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
নির্বাচনে মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন। দেশের ৬১টি জেলার স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের (সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের তথ্যের ভিত্তিতে এই ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদ ৪৪৮টি ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য পদ ১৬৬টি। চেয়ারম্যান পদ রয়েছে ৫৭টি। সারা দেশে ৪৬২টি ভোটকেন্দ্রের ৯২৫টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি বসানো হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গছে, গড়ে একটি জেলার ভোটার এক হাজার ৫৬ জন। মাগুরা, জয়পুরহাট ও ঝালকাঠিতে ভোটার সংখ্যা পাঁচ শর কম। চট্টগ্রাম জেলায় সর্বোচ্চ দুই হাজার ৭৩১ জন ভোটার।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন