কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের মহেশখালী জেটিতে পানের সাদৃশ্যে ভাস্কর্যের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন। পর্যটন এরিয়া হিসেবে সাজতে যাচ্ছে মহেশখালী। এতে থাকছে পাবলিক সিটিং,নামাজের ব্যবস্থা,পাবলিক টয়লেট,রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থা, পর্যটকদের শপিং এর ব্যবস্থা।
২৮ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১০ টায় কক্সবাজারের মহেশখালী জেটির প্রবেশ পথে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়। এতে করে যেমন দ্বীপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি বাড়বে পর্যটকদের আগমন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেছেন, মহেশখালীকে নিয়ে সরকারের বহু উন্নয়ন পরিকল্পনার স্বপ্ন রয়েছে, ইতিমধ্যে কিছু কিছু আপনারা দেখতে শুরু করেছেন,গত ২৬ এপ্রিল মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জাহাজ ঢুকে বিশ্বব্যাপি পরিচিতি লাভ করেছে। আজকের মহেশখালীর প্রবেশ পথের এই ভাস্কর্যে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে, মহেশখালীতে বিশ্বমানের হোটেল,রেস্টুরেন্ট হবে।মহেশখালীর উন্নয়ন হলে স্থানীয়দের অর্থনীতির দ্বার উন্মোচিত হবে। আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন( অব) বলেছেন, আবহাওয়া দূর্যোগের সময় সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা আটকা পড়ে যায়। অনেক সময় পর্যটকদের দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হয় এবং এটা একটি ছোট দ্বীপ এটার পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করতে পারিনা। তাই মহেশখালীকে পর্যটনের বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মহেশখালীতে সোনাদিয়া ও গভীর সমুদ্র বন্দরসহ পর্যটকদের আকর্ষণের বহু নিদর্শন আছে । এই ভাস্কর্যের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে সামনে আরো অনেক কিছুর পরিকল্পনা রয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, মহেশখালী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন,কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এম আজিজুর রহমান বিএ, মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার পাশা চৌধুরীসহ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের অন্যান্য অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ার খিজির খাঁনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন।প্রাথমিক ভাবে ১ এক কোটি টাকা বাজেটে এইচ এ এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।