মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আর আহত হয়েছেন ৫-৬ জন।
গতকাল রবিবার (১৬ মে) রাত ৯টা ১০ মিনিটে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জুড়ী চৌমুহনীর করিম আলী নামের বস্তার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন আরএন এন্টারপ্রাইজ নাসের দুটি দোকানসহ ৪-৫টি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া হাজী নূর জলিল ভিলা নামের ৬ তলা ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার পর থেকে সময় যত গড়িয়েছে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়।
আগুনের তীব্রতায় সিলিন্ডার দোকানে থাকা সিলিন্ডার একের পর এক বিস্ফোরিত হতে থাকে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পুরো এলাকা ভূকম্পিত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলা থেকে ফায়ায় সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট এসে তিন ঘন্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশ ও স্থানীয়রাও আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী কবির উদ্দিন ও বাদল আহমেদ বলেন, ‘আগুন লাগার সময় আমরা ওই দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। সাথে সাথে আমরা বিল্ডিংয়ে থাকা ভাড়াটিয়াদের উদ্ধার করি এবং ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিয়ে আমরা আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়ি।
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আগুন লেগে আমার বিল্ডিংয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ৬তলা ভবনের বিভিন্ন ইউনিটে থাকা ভাড়াটিয়াদের অনেক মালপত্র পুড়ে গেছে। এতে আমার বিল্ডিংয়ের আনুমানিক ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করছি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী করিম আলী বলেন, ‘আগুন লেগে আমার দোকানে থাকা যাবতীয় মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন পথে বসা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।’
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি। আমাদের সঙ্গে বড়লেখা ও কুলাউড়া থানার পুলিশ সদস্যরাও যোগ দেন। অবশেষে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, ‘আগুন লাগার পর আমাদের জেলার ছয়টি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সিলিন্ডার ও পেট্রলের দোকান থাকায় আগুন নেভাতে আমাদের অনেকটা বেগ পেতে হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।’