অনলাইন ডেস্ক:
জিয়াউর রহমানের ‘বীর-উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলঙ্ক’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরের শেখ মুজিবুর রহমানের যে সরকার, সেই সরকারই এই খেতাব তাঁকে দিয়েছিল।
বিএনপি মহাসচিব টেলিফোনে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বর্তমানে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল খেতাবটি বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটাকে আমি মনে করি সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক।’
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছে, তাদেরকে আমি কখনোই মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনে করি না। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে এবং পুরোপুরিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কলংক লেপন করা হলো। আমি এহেন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই খেতাবটা বাতিলে সিদ্ধান্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল নিয়েছে এবং তারা সরকারকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একে আমি মনে করি, জনগণের গণতন্ত্রের প্রতি এবং এই সরকারের অপকর্ম ও যেসব দুর্নীতির চিত্রগুলো বেরিয়ে আসছে, বিভিন্নভাবে তার থেকে জনগণের দৃষ্টি দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্যই এটা করা হয়েছে।’
মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার স্মরণীয় ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর-উত্তর তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই বসে ছিলেন না। তিনি দীর্ঘ ৯ মাস সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দেশের ভেতরে থেকে লড়াই করেছেন এবং বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শুধু নয়, সারা পৃথিবীর মানুষ জানে যে তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এ সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষদের শুধু নয়, বাইরের বহু লেখকের বহু লেখা আছে, যার প্রমাণ রয়েছে। এই যে বীর-উত্তম খেতাবটি তিনি পেয়েছিলেন, সেই খেতাবটি পেয়েছিলেন কিন্তু স্বাধীনতার পরের যে সরকার, শেখ মুজিবুর রহমানের যে সরকার, সেই সরকারই এই খেতাব তাঁকে দিয়েছিল।’