ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:
সারা বিশ্বে প্রতি বছর তিন লাখের বেশি নারী মারা যাচ্ছেন জরায়ু ক্যান্সারে। বাংলাদেশে প্রতি বছর মারা যান প্রায় পাচ হাজার নারী। সচেতনার অভাবে সময়মতো চিকিৎসা করানো হয় না বলে মৃত্যুর হার বেশি বলে মনে করা হয়।
এই জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা এখন হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ইতিমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অন্তত দশজন রোগীর জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয়েছে। তাদের কেমোথেরাপিসহ অন্যান্য চিকিৎসা চলমান।
রবিবার মেডিকেল কলেজটিতে হওয়া ‘ক্যারসিনোমা সারভিক্স’ (জরায়ু ক্যান্সার) বিষয়ে সেমিনারে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
এ সময় দু’টি চিকিৎসার সার্বিক তথ্য তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি জানানো হয় যে, খুব কম খরচে এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবু সাঈদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের গাইনোকোলজি ওনকোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. সাবেরা খাতুন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ডা. ফৌজিয়া হোসাইন, সহকারি অধ্যাপক কাশফিয়া খাতুন, সহকারি অধ্যাপক ডা. নাসিমা আক্তার, ডা. রণজিৎ বিশ্বাস, ডা. ফৌজিয়া আক্তার, ডা. মারিয়া পারভীন, ডা. জিনান রেজা, ডা. আইরিন আক্তার প্রমুখ।
মেডিকেল কলেজের ডা. রণজিৎ বিশ্বাস জানান, সার্বিক সুবিধা থাকায় এখানে জরায়ু মুখ ক্যান্সারের চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে। কলেজের চেয়ারম্যান ডা. আবু সাঈদ এ বিষয়ে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রফেসর ডা. সাবেরা খাতুন বলেন, ডা. রণজিৎ বিশ্বাসের কেসস্টাডিতে যে বর্ণনা দেখলাম তাতে ভালোভাবেই চিকিৎসা সম্পন্ন করা হয়েছে। মফস্বল এলাকাতেও এ ধরণের চিকিৎসা সেবা পাওয়াটা চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় একটা সাফল্য। সেবাটা অব্যাহত রাখতে পারলে এখানকার মানুষ উপকৃত হবেন।
ডা. আবু সাঈদ বলেন, কারো জন্য কিছু একটা করতে পারা আমাদের টার্গেট। আর কিছু করতে পারলেই যেন আমাদেরকে সফল মনে হয়।
ডা. ফৌজিয়া জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে দেখা যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১৭-১৮ বছর বয়সে গর্ভধারণ করছে। এক্ষেত্রে যতদূর সম্ভব সচেতনতা গড়ে তুলতে আমাদেরকেও কাজ করতে হবে।
##