ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:
মুসলিম বিশ্বের পবিত্র ইদুল আজহার ঈদ মাত্র আর কয়েকদিন বাঁকি। এদেশে ১০ জুলাই
ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে সরাইলের পশুর হাট। সপ্তাহের সোমবার ছাড়াও ঈদের আগে শুক্রবার বসবে হাট। বেচা-কেনা শুরু হয়েছে এক সপ্তাহ আগে থেকেই।
বিক্রেতারা বলছেন, গতবছরের তুলনায় ভালো দামে গরু-মহিষ বিক্রি করছেন তারা। বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গরু- মহিষের চাহিদা আছে ছাগল।
এদিকে সরাইল উপজেলায় পানি বৃদ্ধির প্রভাবে বৃহৎ গরুর হাটে বিক্রিতে ধসের কথা বলেন অনেকে। দেশীয় গরুতে হাট সয়লাব।
জানাগেছে, উপজেলার বৃহৎ গরুর হাট সরাইল গরুর বাজার। সপ্তাহে প্রতি সোমবার হাট বসে। হাওড় এলাকায়সহ নয়টি ইউনিয়ন বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারী ও ক্ষুদ্র বিক্রেতারা সরাইল- লাখাই সড়কের মনোয়ারা হাসপাতালের সামনে হাটে গরু নিয়ে আসেন। প্রতি হাটে অন্তত কয়েক হাজার গরু আসে। এ হাটে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে অন্তত অর্ধ শতাধিক পাইকারী ক্রেতা আসেন। সিলেট বন্যা হওয়ায় এ হাটে এ সপ্তাহে তেমন পাইকারী ক্রেতা আসতে পারেনি বলে জানান হাটে আসা নিয়মিত ক্রেতা বিক্রেতারা।
শাহজাদাপুর থেকে আসা মহিষ বিক্রেতা সবু ও মনু মিয়া বলেন, হাটে সাতটি মহিষ এনেছি।
তিনটি বিক্রি করতে পেরেছি। ক্রেতা যারা এসেছে তারা দাম অনেক কম বলে। তবে বাজারে ক্রেতা আছে গত সাপ্তাহের চেয়ে অনেক বেশি। বাজার অবস্থা ভাল।
মাধবপুর উপজেলার গরু বিক্রেতা আরিফ বলেন, হাডে ক্রেতা নাই। আইজ গরু ব্যাচতে পারমু না। ব্যাচলে অ্যাকছের লচ দিয়া ব্যাচতে অইবে।
তিনি বলেন, কোরবানীর হাট উপলক্ষে বিক্রি থাকার কথা ছিলো জমজমাট কিন্তু অনেক কম। দুপুরের পর দেখা যাবে বাজারের অবস্থা। মাধবপুর থেকে ক্রেতা মনো মিয়া বলেন, বড় মহিষটি আমি আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছি। দাম মোটামুটি সাধ্যের ভিতরে।