ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুপরিচিত সামাজিক ও মানবিক সংগঠন “বাতিঘর” এর পরিচালক ও তরুন ব্যবসায়ী আরেফিন হৃদয়ের জন্মদিন উপলক্ষে নিজের জন্মদিনে কেক না কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের করোনায় আক্রান্ত রোগী ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে আলোচনা শেষে ১২০ জন রোগীকে মুরগী-পোলাও বিতরণ করা হয়।
খাবার বিতরণ শেষে করোনায় আক্রান্ত রোগী ও ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধা ডাক্তার-নার্স, সাংবাদিক ক প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক-উপদেষ্টা ও সদস্যদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
বাতিঘরের উপদেষ্টা ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজের পরিচালনায় খাবার বিতরণের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইব্রাহীম খান সাদাত, হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. হিমেল খান, ডা. এনামুল হাসান, ইএনটি কনসালটেন্ট ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এড. মাসুম বিল্লাহ, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সোলাইমান মিয়া, ডা. লিটন চৌধুরী প্রমূখ।
করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণের বিষয় নিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, আরেফিন হৃদয়ের এই উদ্যোগটি সত্যি মহৎতী উদ্যোগ ছিল। নিজের জন্মদিনের কেক না কেটে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করে সে দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। এই মহামারীর সময়ে এভাবেই সবাই এগিয়ে আসতে হবে। ইতিমধ্যে বাতিঘর তাদের সামাজিক ও মানবিক কাজ দিয়ে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। তাদের টেলি মেডিসিন সেবাটি জেলায় অনেক সারা ফেলেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের সবার প্রতি রইল শুভ কামনা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক ও “বাতিঘর” এর উপদেষ্টা এনামুল হক ও সমাজকর্মী সাংবাদিক সুময় রায়, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আবু নাছের সজরুল হক, সাংবাদিক আবুল হাসনাত রাফি, সাংবাদিক মেহেদী নূর পরশ “বাতিঘর” এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আজহার উদ্দিন, সংগঠনের পরিচালক প্রমীলা দাস, অভিনয় শিল্পী সুদীপ দেবনাথ রিমন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিপ্লব হোসেন, শহর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান হৃদয়সহ বাতিঘরের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
কেক না কেটে রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে আরেফিন হৃদয় বলেন, প্রতিবছর জন্মদিনের কেক কাটা হয়। কিন্তু এবার নিজের ভিতরে একটা তাড়না সৃষ্টি হলো। তাই কেক না কেটে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছি। আমি চাই সব জায়গাতে একটা পরিবর্তন আসুক। আর এই পরিবর্তনের প্রবণতা সবার মাঝেও ছড়িয়ে পড়ুক।
এসময় পবিত্র কোর-আন থেকে তেলাওয়াত পাঠ করেন ও মোনাজাত করেন সংগঠনের সদস্য হাফেজ মুহাম্মদ জাহিদ।