অনলাইন ডেস্ক:
সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে আরো বেগবান করে জনসচেতনতার মাধ্যমেই এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আজ শনিবার (৭ আগস্ট) সকালে গুলশানের নগর ভবনে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে ‘১০টায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগানটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তিনি আজ গুলশান-২ এর নগর ভবনে নিজে ‘১০টায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ স্লোগানটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে আরো জোরদার করেছেন, যা ডিএনসিসির ফেসবুক পেইজ থেকেও সরাসরি প্রচারিত হয়েছে।
নগরবাসীদের মধ্যে যারা একই সময়ে একযোগে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তা ফেসবুকে প্রচার করেছেন তাঁদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মেয়র।
আতিকুল ইসলাম বলেন, সুস্থ পরিবেশের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সর্বস্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণে চলমান সামাজিক আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে হবে, সবাইকেই লজ্জা পরিহার করে প্রতি শনিবার সকাল ১০টায় ১০ মিনিট স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার করতে হবে।
আতিকুল ইসলাম আরো বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। অব্যবহৃত এই জিনিসগুলো যত্রতত্র না ফেলে নিকটস্থ ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে জমা দিলে জমাদানকারীকে পুরষ্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি তথ্যবহুল ছবি সরবরাহকারীকেও পুরস্কৃত করা হবে। তিনি বলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে জমা দেওয়া প্রতিটি অব্যবহৃত কমোড ও টায়ারের জন্য ৫০ টাকা এবং প্রতিটি ডাবের খোসা, রংয়ের কৌটা ও চিপসের প্যাকেটের জন্য ৫ টাকা হারে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হবে।
নগরবাসীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নগরবাসীর কল্যাণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৬টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পরে মেয়র রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয় এবং কালাচাঁদপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বেশ কয়েকটি করোনা টিকাদান কেন্দ্র সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডের নির্ধারিত ৫৪টি কেন্দ্রেই বিনামূল্যে করোনার টিকা প্রদান কার্যক্রম আজ থেকে শুরু হয়েছে যা আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পেতে প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকেই সুশৃঙ্খলভাবে করোনার টিকা গ্রহণ করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরো বলেন, ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার। তাই করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আমাদের সবাইকেই সরকারি নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।