অনলাইন ডেস্কঃ
প্রেস ক্লাবে হামলার ঘটনার পরও থেমে নেই আলমাস চেয়ারম্যানের অব্যাহত হুমকি। গতকাল বুধবার সকালে প্রেস ক্লাবের সামনে দিয়ে চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী কয়েক দফা মহড়া দিয়েছে বলে জানা গেছে। সাংবাদিকদের দেখে নেবেন—এমন কথাও আলমাস চেয়ারম্যান বলে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় কর্মরত ৬৭ সাংবাদিক। জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবার।
জানা গেছে, একসময়ের ছাত্রদল নেতা তোফায়েল আহম্মেদ আলমাস আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোল পাল্টে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তিনি একেক সময় একেকজনের দলে ভিড়ে কাজ করতেন। গত ২০১৬ সালের নির্বাচনে হাইব্রিডখ্যাত আলমাস নৌকা প্রতীক নিয়ে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হন। এর পর থেকেই তিনি বেপোরোয়া হয়ে ওঠেন। চেয়ারম্যান হওয়ার সুবাদে গত সাড়ে চার বছরে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একজন ইউপি চেয়ারম্যান হয়েও তিনজন অস্ত্রধারী দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁর এসব অপকর্ম নিয়ে রূপগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষিপ্ত ছিলেন আলমাস চেয়ারম্যান।
এরই জেরে মঙ্গলবার সকালে আলমাস চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনী রূপগঞ্জ প্রেস ক্লাব ঘিরে রাখে। একপর্যায়ে প্রেস ক্লাবের ভেতরে থাকা কর্মরত সাংবাদিকদের অবরুদ্ধ করে আলমাসের নেতৃত্বে হামলা চালান সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত করেন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আলমাস বাহিনীর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে হামলার ২৪ ঘণ্টা পরও থেমে নেই আলমাস চেয়ারম্যান ও তাঁর বাহিনীর অব্যাহত হুমকি। বুধবার সকালে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী মুড়াপাড়া মঠের ঘাট এলাকায় কয়েক দফা মহড়া দেয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।