বাংলাদেশকে সবার সঙ্গে চলতে হয়। চীনকেও সমর্থন দেবে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছীন গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বেইজিং থেকে আফ্রিকায় সফরে যাওয়ার পথে ফ্লাইটের জ্বালানি নিতে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাত ১টা ৫৮ মিনিটে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। এ সময় বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তারা বৈঠক করেন। রাত আড়াইটার দিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইট ঢাকা ছাড়ে।
এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ‘এক চীন’ নীতিতে বিশ্বাস করি। এটা আমাদের মূলনীতি। এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। আমাদের সবাইকে নিয়েই চলতে হয়। সুতরাং আমরা আপনাদের (চীনকে) ‘টাইম টু টাইম’ সাপোর্ট দেব।”
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে নভেল করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ায় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। এ সময় চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়ে ছিন গ্যাংকে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন গ্যাং। জবাবে আব্দুল মোমেন তাঁকে আরো বেশি সময়ের জন্য বাংলাদেশ সফরের প্রস্তাব দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৭ সালে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকায় এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করেছিলেন। তখন তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন