বরগুনা প্রতিনধি :
চালের দোকানে মোবাইল কোট পরিচালনা করতে এসে বরগুনায় ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে পড়েন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেষ্ট । মোবাইল কোট বসিয়ে ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা করলেও ১ ব্যবসায়ীকে জরিমানা না করেই চলে যান ঐ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেষ্ট।
(৩-মার্চ) বুধবার দুপুরে বরগুনা পৌর-শহরের সদর রোড-এ কয়েকটি চালের দোকানে চাল পলি বস্তায় রাখার অপরাধে মোবাইল কোট বসিয়ে জরিমানা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যেষ্ট মো. মাহফুজুর রহমান ।
ব্যবসায়ীরা পাটের বস্তার পরিবর্তে পলিথিনের বস্তায় চাল রাখার অপরাধে সদর রোডের ক্ষুদ্্র চাল ব্যবসায়ী আ. রহমান কালাইকে-৪ হাজার, রুবেল মোল্লাকে-৫ হাজার, রিয়াজ-২ হাজার এবং সমীরনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এর পরে শহরের সাহাপট্রি সিদ্দিক স্মৃতি মঞ্চ সংলগ্ন মেসার্স অমল কৃষ্ন তালুকদারের পাইকারি দোকানে গিয়ে পলিথিনের বস্তায় চাল দেখে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যেষ্ট মো. মাহফুজুর রহমান মোবাইল কোট বসিয়ে জরিমানা করতে চায়। দোকান মালিক রানা তালুকদার জরিমানা দিতে অস্বীকৃতি জানায় । হঠাৎ শহরের অন্য চাল ব্যবসায়ীরা সাহাপট্রি সিদ্দিক স্মৃতি মঞ্চ সংলগ্ন মেসার্স অমল কৃষ্ন তালুকদারের পাইকারি দোকানের সামনে জড় হয় এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যেষ্ট মো. মাহফুজুর রহমানের সামনে সকল চালের দোকান বন্ধ রাখার হুমকি দেয় ।
তখন ব্যবসায়ীদের তোপের মুখে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যেষ্ট মো. মাহফুজুর রহমান ঐ দোকানের মালিক রানা তালুকদারকে ডিসি অফিসে ডেকে তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।
শহরের সদর রোডস্থ ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী আ.রহমান কালাই বলেন, আমরা এলসি থেকে আমদানি কৃত চাল ছাড়িয়ে ক্ষুদ্র চালের ব্যবসা করি ,ম্যাজিস্ট্রেস্ট এসে আমার ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আমরা পরে শহরে পাইকারি চাল ব্যবসায়ী রানা তালুকদারের দোকানের সামনে জড় হই। সকল চাল ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্ত করি যে মোবাইল কোটে জরিমানা করা হলে আমরা চালের দোকান বন্ধ রাখবো। তখন ম্যাজিস্ট্রেস্ট তাকে জরিমানা না করে চলে যান।
পৌর শহরের বাকালি পট্টি পাইকারি চাল ব্যবসায়ী ছিররামপুর ট্রেডার্স এর মালিক পাভেল বলেন ,এ ঘটনায় আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করেছি ,সে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।
বরগুনা শহরের সাহাপট্রি সিদ্দিক স্মৃতি মঞ্চ সংলগ্ন মেসার্স অমল কৃষ্ন তালুকদার পাইকারি দোকানে মালিক রানা তালুকদার জানান, আমরা বিষয়টির প্রতিবাদ করেছি, পরে জেলা প্রশাসকের সাথে দেখা করেছি ,সে এ ব্যাপারটির দিক নির্দেশনা দিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যেষ্ট মো.মাহফুজুর রহমান এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে জানান,বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়েছি। আমি ৫টি দোকানে মোবাইল কোট বসিয়ে জরিমানা করেছি। ওনাকে (রানা তালুকদারকে )অফিসে আসতে বলেছি, তার বক্তব্য শুনে ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন,কে দোকান বন্ধ রাখবে কি রাখবে না সেটা তার ব্যাপার , আমাদের মোবাইল কোট অব্যাহত থাকবে। আইনগত ভাবে কার্যক্রম চলবে।