বিশেষ প্রতিনিধি. চট্টগ্রাম
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন ১৯৮৮ সালে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে আমাকে
অপহরণ করা হয়েছিল। এমনকি হত্যাচেষ্টাও করছে অপশক্তিরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬তম
দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ আরও বলেন,
এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি করতে গিয়ে অনেক হামলার
শিকার হয়েছি। গ্রেনেড হামলার দাগ যেমন এখনো শুকায়নি
তেমনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন হামলার দাগ এখনো আমার
শরীরে আছে। এখানে বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে
গিয়ে যে সাহস এবং শক্তি সঞ্চয় করেছি তা আমাকে
রাজনৈতিক ভঙ্গুর পথ পাড়ি দিতে সহযোগিতা করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তমত ও মুক্ত সংস্কৃতির চর্চা না হলে দেশের
গণতন্ত্র সুসংহত হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দি, ইংরেজি গান
কিংবা হিন্দি সিরিয়ালের চর্চা যেন না হয়, আমাদের আবহমান
সংস্কৃতির অবাধ চর্চা রাখতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন,
আজকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬তম জন্মদিন। আমি
বিদেশ থেকে এসে অফিস এবং সংসদে না গিয়ে এই
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি। কারণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি
আমার আবেগ ও ভালোবাসা গভীর। এই বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে
আছে অনেক স্বপ্ন ও স্মৃতি। অমার অনেক বন্ধু এখন আর
বেঁচে নেই। অনেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় ৫৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
উপলক্ষে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে এক আনন্দ র্যালি
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের
জারুলতলায় কেক কাটা হয়।
চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এতে
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যার ভাবনা’- শীর্ষক প্রবন্ধ উত্থাপন করেন
কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ড. মুহিবুল আজীজ। এতে
আরো বক্তব্য রাখেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার,
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)
এস এম মনিরুল হাসান, চবির সাবেক উপাচার্য ড. বদিউল
আলম, অধ্যাপক ড. আনোয়ারুজ্জামান আরিফ, চাকসু সাবেক
ভিপি মাজহারুল হক শাহ, বর্তমান ভিপি নাজিম উদ্দিন, চবির
এলামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহাবুব আলম
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ,
ডিনবৃন্দ, শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীবৃন্দসহ
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত
ছিলেন।