বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় চন্দনা-বারাশিয়া নদীতে পড়ে শ্রাবনী আক্তার সুলতানা নামে ৯ বছরের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। সে চতুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনির শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বোয়ালমারী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চিতাঘাটা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সকাল থেকে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা প্রাথমিক চেষ্টায় উদ্ধার করতে না পারলে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ডুবুরি দলকে খবর দেয়। প্রায় ৫ ঘন্টা পাটুরিয়া ঘাটের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ৪ সদস্য বিশিষ্ট ডুবুরি দল চেষ্টা করেও শিশুটিকে উদ্ধার করতে না পেরে কাজ সমাপ্ত করে। এখনো চলছে শিশুটির পরিবারে আহাজারি। শ্রাবনী বাবলু গাজীর একমাত্র মেয়ে।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চতুল ইউনিয়নের চতুল গ্রামের বাবলু গাজীর মেয়ে শ্রাবনী আক্তার সুলতানা তার বান্ধবী মরিয়ামের সাথে চন্দনা-বারাশিয়া নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পার হয়ে পাশের গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা গ্রামে খালা বাড়িতে যাওয়ার সময় নদীর পানিতে পড়ে যায়। এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীদের খবর দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাটের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ৪ সদস্য বিশিষ্ট ডুবুরি দল চেষ্টা চালিয়েও শিশুটি উদ্ধার হয়নি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টায় পাটুরিয়া ঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ডুবুরি দলের ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন জমাদ্দর কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা পাঁচ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়েও শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারিনি। সেহেতু ভাসমান ছাড়া আর কোন উপায় দেখছি না।
বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আব্দুস সত্তার বলেন, এ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রাথমিক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটিকে না পেয়ে মানিজগঞ্জের ডুবুরি দলকে খবর দেই। তারাও প্রায় ৫ ঘন্টা উদ্ধার কাজ চালায়। তারপরও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।