বরগুনা প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে বরগুনা পৌর শহরসহ পৌরসভার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে , ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেঁড়ি বাঁধ। দোকান ও বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পৌর-নাগরিকগন ও ব্যবসায়িরা। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি পানি প্রবাহিত হওয়ায় বরগুনা শহরে পাদুকা পট্টি , গার্মেন্স পট্টি , চালের আড়ৎ ,হোটেল ও অন্যান্য ব্যবসায়িদের দোকান এবং রাস্তা পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। পৌর-শহরের বেঁড়ি বাঁধের বাহিরের পৌর-নাগরিকদের বাড়ি-ঘর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও মুড়ি ব্যবসায়ীদের মুড়ি, চাল ব্যবসায়েিদর চাল, ডাল ও ঔষধ পানিতে ভীজে নষ্ট হয়ে ব্যবসায়েিদর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
২৬ মে বুধবার সকালে বরগুনা পৌর-মেয়র এ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ ও কাউন্সিলর রইসুল আলম রিপন পানিতে প্লাবিত শহরের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়িদের খোঁজ-খবর নেন।
উপকূলীয় জেলা বরগুনা পৌর-শহরে প্রায় ৬০ হাজার ৮শ ৭৫ জন লোকের বসবাস। এ দূর্যোগ প্রবণ এলাকার এ পৌর-শহরের বেঁড়ি বাঁধের বাহিরে বাস করছে হাজার হাজার মানুষ। বেড়ি বাঁধের বাহিরে আছে বস্তি এবং আশ্রয়ণ প্রকল্প। তবে প্রায়ই প্রকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতির শিকার পৌর-ব্যবসায়ীরা ও নাগরিকগন পৌরসভা ও সরকারি দপ্তর থেকে কোন ধরনের সহয়তা পায় না বলে ভূক্তভোগী পরিবার গুলো জানান এবং পৌরসভাসহ সরকারি দপ্তরে নেই কোন র্দূযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পৌর-নাগরিকদের তালিকা।
পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, বরগুনা পৌর-শহরের আয়তন প্রায় ১২.৯৬ বর্গ কিলোমিটার । সর্বশেষ আদমশুমারী অনুসারে এখানে প্রায় ৬০ হাজার ৮শ ৭৫ জন লোকের বসবাস। বস্তি ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে বাস করছে প্রায় ৩৫শ পরিবার। পৌর-শহরে বেড়ি বাঁধের বাহিরে খাকদোন নদী ও ভাড়ানীর খালের তীরে সোনাখালী স্ব-মিল থেকে ক্রোক সুলিজ পর্যন্ত নদীর পাড়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার পরিবার। এরা বেশির ভাগই নিন্ম আয়ের মানুষ। স্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে যেখানে শহর তলিয়ে যায়। সেখানে বন্যা বা জলোচ্ছ্বাসের পানির ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে পৌর-নাগরিক ও শহরের ব্যবসায়ীদের রক্ষার পৌর-কর্তৃপক্ষের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়না। জেলা ত্রান কর্মকর্তা লুৎফর রহমান প্রতিবেদকে জানান ,নগদ ২৫ হাজার টাকা পৌরসভায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক উপজেলায় ৫৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার একটা অংশ পৌরসভা পাবে। বরগুনা পৌরসভার সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের মাত্র ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তা এখোনো হাতে পাইনি। পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে । পৌরসভায় চাল বরাদ্দ পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে সচির আরও বলেন ২৫ হাজার টাকা ছাড়া আর কিছুই পায়নি।